ঢাকা-নারিতা-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট সম্পর্কে বিস্তারিত
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৭
ঢাকা-নারিতা-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট সম্পর্কে বিস্তারিত
পর্যটন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ-জাপান সরাসরি বিমান যোগাযোগ লাভজনক রুট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আজ থেকে বহু প্রতীক্ষিত ঢাকা-নারিতা-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করছে।


উদ্বোধনী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রাত ১১.৪৫ মিনিটে যাত্রা করবে এবং ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ৯.১৫ মিনিটে জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবে।


বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানটির ফ্লাইট চলাচল উদ্বোধন করবেন।


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মাইদুর রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।


বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম আজ বাসসকে বলেন, ‘ঢাকা-নারিতা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল রুট হতে পারে। কেননা এতে আমরা স্থানীয় যাত্রী ছাড়াও আমাদের প্রতিবেশী দেশের যাত্রীদের আশা করছি।’


তিনি বলেন, নেপাল ও কলকাতার যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে বিমান ইতিমধ্যেই নারিতা রুটে বেশি ওজনের ব্যাগেজ সহ লোভনীয় প্যাকেজ অফার করেছে।


বিমানের প্রধান বলেন, জাপানে বাংলাদেশী ছাড়াও প্রায় ৪১,০০০ ভারতীয় এবং ১.৪০ লাখ নেপালি নাগরিক বাস করে। ভারত ও নেপালের যাত্রীরা মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা হয়ে জাপানে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।’


তিনি বলেন, এছাড়া বর্তমানে অনেক জাপানি কোম্পানি এখানে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে এবং অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে।


২০২২ সাল পর্যন্ত জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশীর সংখ্যা ছিল ২০,৯৫৪ জন।


বিমান প্রধান বলেন, জাতীয় পতাকাবাহী বিমান কোড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে জাপান হয়ে অন্যান্য ক্যারিয়ারের সাহায্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল ও কানাডায় যাত্রী বহনের পরিকল্পনা করছে।


শফিউল আজিম বলেন, ‘আমরা অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সাথে ইন্টারলিঙ্কিং বা কোড শেয়ারিংয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি যাতে আমরা ৩৬০ ডিগ্রি এয়ারলাইনের মতো আমাদের যাত্রীদের জাপানের বাইরে বিভিন্ন রুট অফার করতে পারি।’


তিনি বলেন, বর্তমানে বিমান কোড শেয়ারিংয়ের জন্য জাপান এয়ারলাইন্স লিমিটেড (জেএএল), অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ এবং এয়ার কানাডার সাথে কাজ করছে।


কোড শেয়ারিং হল এমন একটি বিপণন ব্যবস্থা যেখানে একটি এয়ারলাইন অন্য এয়ারলাইন দ্বারা পরিচালিত একটি ফ্লাইটে তার মনোনীত কোড স্থাপন করে এবং সেই ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি করে।


সারা বিশ্বে এয়ারলাইনগুলো তাদের বাজারে উপস্থিতি এবং প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাকে বাড়াতে কোড-শেয়ার ব্যবস্থার সুবিধা নিচ্ছে।


ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ এবং ৭৮৭-৯ বিমান দিয়ে বিমান বাংলাদেশ সাপ্তাহিক তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।


প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার ঢাকা থেকে এবং প্রতি শনি, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার নারিতা থেকে ফ্লাইট ছাড়বে।


বর্তমানে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা ইউরোপীয় বিমান প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে ১০টি আনকোরা নতুন উড়োজাহাজ কেনার লক্ষ্যে এয়ারবাসের সাথে আলোচনা করছে।


বর্তমানে বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ এবং পাঁচটি ড্যাশ ৮-৪০০ বিমান।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com