
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এপ্রিল-মে মাসের আবহাওয়ার ধরণটাই এরকম যে— তীব্র গরমের পাশাপাশি অল্প সময় বৃষ্টি হবে এবং ওইটুকু সময়ই স্বস্তি অনুভূত হবে। গরম থাকলেও দেশের তিনটি বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গা এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বা ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
সপ্তাহজুড়ে গরম ও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। প্রতিদিনই রোদের প্রচণ্ড তাপ আছে আবার নেই, আকাশজুড়ে মেঘ আবার বাতাসে ভেসে চলে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টিও হচ্ছে, তবে গরম তেমন কমেনি। আবহাওয়া অফিস বলছে, বাতাসে জলীয়বাষ্প থাকায় গরম অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়া সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আর এক পূর্বাভাসে জানা যায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। উত্তরাঞ্চলে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী তিন দিন বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। আকাশ মেঘলা এবং বাতাস প্রবাহিত হলে গরম অনুভূত হচ্ছে। কারণ, বঙ্গোপসাগর থেকে বাতাসের সঙ্গে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে। আর্দ্রতা বাড়ছে, যা গরমও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এদিকে বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কিছু উঁচু জমির ফসলও ডুবেছে। রবিবার বৃষ্টি মাখা রোদ ছিল। সুনামগঞ্জের তিনটি ও সিলেটের পাঁচ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। সিলেটের কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাটের সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ১৮ মে পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। হাওর প্রধান সুনামগঞ্জের রক্তি, গজারিয়া, সুরমা নদীর পানি বেড়ে বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকলে সিলেটে আরো পাহাড় ও টিলা ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল সম্ভাবনায় সাগরও উত্তাল। তাই কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন এসব স্থানও ঠিক শঙ্কার বাইরে নয়।
আবহাওয়ার ঠিক এই রকম অবস্থায় ঘুরতে যাওয়ার চিন্তাটা অন্তত সপ্তাহখানেক কিংবা পনেরদিনের জন্য বাদ দিতে হবে। ভ্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমণ কখনো আনন্দের হয় না। ভ্রমণ মানেই নির্বিঘ্নে, আনন্দে কিছুটা সময়ের অবকাশ। দেশজুড়েই বৃষ্টি, বজ্রপাত, ঝড়ো হাওয়া, পাহাড়ি অঞ্চলে ঢলের সম্ভাবনা। তাই কিছুদিন ভ্রমণ বাদ দিয়ে ঘরে থাকতে হবে। এই অস্বস্তিকর গরম ও উত্তাল আবহাওয়া কেটে গেলে পড়ে আবার শুরু হোক আনন্দভ্রমণ।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]