
“ফুল সর্বত্রই আছে। দিনগুলি শীতল এবং সূর্য প্রায় আমাদের সাথে লুকোচুরি খেলবে বলে মনে হচ্ছে।"– দার্জিলিং সম্পর্কে বলেছিলেন কবিগুরু গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি বিভাগের জেলা দার্জিলিং। রাজ্যের উত্তর অংশে অবস্থিত দার্জিলিং জেলা মনোরম শৈলশহর ও দার্জিলিং চায়ের জন্য বিখ্যাত। ভ্রমণের জন্য অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো দার্জিলিং। দার্জিলিংকে “পাহাড়ের রানি” নামে অভিহিত করা হয়। আকাশের উপরে চকচকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ঘূর্ণায়মান পাহাড়গুলির মধ্যে অবস্থিত। দার্জিলিংয়ে যেন ট্রেকারদের স্বর্গ রয়েছে।
সাধারণত, দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের সিজন শুরু হয় মার্চ থেকে। চলে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এ বছর একটু ব্যতিক্রম। মার্চ থেকে শুরু হয়েছে সিজন। কিন্তু এখনও হোটেলে হোটেলে বুকিং হয়েই চলেছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, আরো অনেকেই আসছেন উনিশে মে-র পর। তখন থেকে আরও জমবে ব্যাবসা। সিজন গড়িয়ে যাবে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত। টয় ট্রেনের কু ঝিক ঝিক শব্দ, ম্যালে উপচে পড়া ভিড়, মধ্যে মধ্যে মেঘেদের আনাগোণা। এই গরমে বেশ জমে উঠেছে দার্জিলিং।
গরম থেকে মুক্তি পেতেই যেন দার্জিলিং জমাজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন দেশ এবং বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসছেন শৈল শহরে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশা, এ বছর সিজনটা গড়িয়ে যাবে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সমতলে প্রচণ্ড গরম। তাই দার্জিলিং পাহাড় এখন বেশ জমজমাট। পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসাঠাসি এই শৈল শহর। রাজ্য তো বটেই। অন্য রাজ্য, এমনকি পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকেও পর্যটকরা আসছেন দার্জিলিংয়ে। কয়েকট দিন ছুটি কাটিয়ে আবার ফিরে যাওয়া।
সুযোগ পেলেই বেড়াতে বেড়িয়ে পড়ে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি। তা সে দু একদিনের ছোট্ট ছুটি অথবা লম্বা ডুব। ছোট ছুটি হলে দেশেই, লম্বা ছুটি পেলে বিদেশ ছোটেন। আর একটু বেশি দিনে ছুটি পাওয়া গেলে দারজিলিং, বারোস, পাতায়া অন্য রোমাঞ্চকর জায়গাগুলোও। ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে দার্জিলিংকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এই নতুন চেহারা পাল্টে দিয়েছে পাহাড়ের রানির বুকে ভ্রমণের চেহারা।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]