মাওয়া ঘাটে রুপালি ইলিশ খেতে দল বেঁধে মানুষ যাচ্ছে।আর এখন তো ইলিশের ভরা মৌসুম।যেখানে সেখানে হাত বাড়ালেই ইলিশ পাওয়া যায়।দামেও অনেকটা সস্তা।
তাই মাওয়া ঘাটে ইলিশ বিলাসে গেলে দেখতে পাবেন পদ্মা নদীর ঢেউ আর নদীর পানিতে নৌকা আর সূর্যের মিতালি। জেলেদের মাছ ধরা, রুপালি ইলিশ আর খাবারের মেন্যুতে থাকবে গরম ভাতে ইলিশ মাছ, মাছের ডিম ভাজা, লেজ ভর্তা, বেগুন ভাজা, স্থানীয় পান, মিষ্টি ও চা।সারাদিন নদী আর ইলিশ বিলাস শেষ করে সন্ধ্যার আগেই রওনা হতে পারবেন ঢাকার উদ্দেশ্যে।
মাওয়া ঘাটের তেলে ভাজা ইলিশ
কিভাবে যাবেন
রাজধানীর গুলিস্তান ও যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়ার বেশ কয়েকটা বাস যায়।সিটিং সার্ভিস বলা হলেও বাসগুলো ইচ্ছা মতো লোক নিতে থাকে। আসার সময়ও একই অবস্থা।ভাড়া ৭০ টাকা।
খাওয়া দাওয়া
ঘাটে নামলেই সব দোকান থেকে ডাকাডাকি শুরু করবে।যাই হোক, দেখে শুনে একটা দোকান এ ঢুকলে দেখা যাবে যে অনেক ইলিশ মাছের পিস কাটা, সেগুলো আগের মাছ।অনেক সময় ইলিশের বদলে সাডিন মাছও দিয়ে দেয় নাকি।ভাল হয় নিজেরা দেখে কিনে নিলে। ওরা যখন মাছ কাটবে এবং মাছ ভাজবে তখন অবশ্যই সামনে থাকতে হবে, নাহলে অনেক সময় পুরাতন মাছ মিশিয়ে দেয় বা মাছ এর পিস চুরি করে।মাছ এর পেটি দিয়ে মাছ ভাজা করে দেয় আর লেজ দিয়ে ভর্তা। চাইলে মাছের ডিম ও কেনা যায়। আর যে কোনো কিছু খাওয়ার আগে দাম জিজ্ঞাসা করে দামাদামি করে খেতে হবে, নাহলে খাওয়া শেষ হলে ভুতুরে বিল ধরিয়ে দিবে।
মাওয়া ঘাটে ইলিশের ডিম
দাম এবং রেটিং
ইলিশ মাছঃ ৫৫০ টাকা
ভাজাঃ রেটিং এর উপরে, পদ্মার তাজা বাতাস এ খেতে অমৃত এর মত লাগে।
লেজ ভর্তাঃ ৯.৫/১০
ইলিশ মাছের ডিমঃ মজা
প্রাইসঃ ১৫০ টাকা (দুইটা)
ভাতঃ ৮০ টাকা পার বোল
আচারঃ ১০/১০
খাওয়ার শেষে স্পেশাল মালাই এর চা।এটা অনেক মজার বাট একটু বেশি প্রাইস মনে হয়েছে।
দামঃ ২০ টাকা/ পার কাপ
হাত এ একটু সময় থাকলে মাওয়া ঘাট থেকে ১০ মিনিট দূরে মাওয়া বাজার থেকে ঘুরে আসতে পারেন। মাওয়া ঘাট থেকে ৫০ টাকা অটো ভাড়া নিবে রিজার্ভে। বেশ কয়েকটা মিস্টির দোকান আছে, আমরা অটো ড্রাইভার সাহেবের কাছ থেকে জেনে নিয়ে একটা মিস্টির দোকান এ ঢুকেছিলাম। রসগোল্লা নরম তুলতুলে, মুখে দিলেই গলে যায়।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]