
সম্প্রতি শিক্ষাঙ্গনে ঘটে যাওয়া অযাচিত বিভিন্ন ঘটনা, শিক্ষকের উপর ছাত্রের হামলা ও সংখ্যালঘু শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন জনলোক। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই প্রগতিশীল সংগঠনটির নেতারা বলেন, শিক্ষানীতির মূলে থাকতে হবে উদার ও সহিষ্ণু মানুষ তৈরির রূপরেখা। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক, উদার, গণতান্ত্রিক চেতনাসমৃদ্ধ ও সহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে না পারলে একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়া অসম্ভব হয়ে উঠবে।
এই সংকট শুধু জাতীয় নয় বরং বিশ্বব্যাপী। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতার কুচকাওয়াজে হামলাকারী তরুণ অথবা এর আগে স্কুলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত তরুণদের সহিষ্ণুতা ও সহমর্মিতার শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায়নি বলেই তারা বিপথগামী হয়েছে। আইন করে শিক্ষাকার্যক্রমে উদার সহিষ্ণু হবার পাঠদান চালু করলে বিজ্ঞানশিক্ষকেরা আর লাঞ্চিত হবেন না। শিক্ষকের প্রতি শিক্ষার্থীদের সম্মানবোধ তৈরি হবে।
নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্চনা, বরিশালে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উস্কে দেয়া, আশুলিয়ায় শিক্ষককে পিটিয়ে নিহত করা এবং এর আগে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সাংসদ কর্তৃক শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করানো, মুন্সীগঞ্জে শিক্ষক হৃদয় চন্ত্র মন্ডলকে হাজতে নেয়া এই সবকিছুই অসহিষ্ণুতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার এক সুতোয় বাঁধা। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার যে মৌলিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তা আজও বিপন্ন। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের বিভিন্ন খাতে প্রতিক্রিয়াশীল একটি চক্র সংঘবদ্ধভাবে ঘাটি গেড়ে বসেছে। একমাত্র বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার প্রসারের মধ্যদিয়েই এই অপশক্তিকে মোকবিলা করা সম্ভব বলে বিবৃতিতে মত দেন জনলোক নেতৃবৃন্দ। জাতীয় ভিত্তিক এই সামাজিক সংগঠনটি মনে করে, শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে একজন শিক্ষার্থীকে কীভাবে উদার, গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক, মানবিক ও সহিষ্ণু মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায় তার পরিষ্কার রূপরেখা থাকতে হবে। আর তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নেরও তাগিদ দেন জনলোক নেতৃবৃন্দ।
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]