ভাগ্য নিজ থেকে আসে না
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ২১:৩৩
ভাগ্য নিজ থেকে আসে না
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন
প্রিন্ট অ-অ+

ইলা অলড্রিচ বলেছিলেন, 'ভাগ্য সবার দুয়ারে আসার জন্য অপেক্ষা করে, কিন্তু নিজ থেকে আসে না। তাকে ডেকে আনতে হয়।'


বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমি ও শেখ হাসিনার প্রায় চল্লিশ বছরের রাজনীতি অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও বিবাদ.., অতঃপর একজন শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে আজ বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ এমন এক চূড়ায় অবস্থান করছে, যেখানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকেও এক হাত নিয়ে তিনি বলতে পারছেন যে, 'কোনো দেশ স্যাংশন দিলে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু কিনবে না।'


শেখ হাসিনা দীপ্ত উচ্চারণে থেকে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা। সরকার ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়ন করবে, যাতে দেশের কেউ আর ভোগান্তির শিকার না হয়। এতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম একটি সম্মানজনক ও উন্নত জীবন পাবে।'


বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তনে তাই শেখ হাসিনাকে ডেকে এনে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা ভুল করেননি। তাঁর সাহসী পথচলা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে, তা প্রমাণিত সত্য।


জননেত্রী খুব শক্ত অবস্থান নিয়ে বলেছেন, 'আমার কী করবে, বাবা-মা, ভাই-বোন সব মেরে ফেলে দিয়েছে। আমার তো হারাবার কিছু নেই। কিন্তু আমি আমার দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।'


সাইরাস লিখেছিলেন, 'যদি সর্বোচ্চ স্থান পেতে চাও, তাহলে সর্বনিম্ন স্থান থেকে আরম্ভ কর।' শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছেন, একেবারেই নতুন করে আরম্ভ করে। আজ তিনি ২১০০ ডেল্টা প্ল্যানের সারথী হয়ে লড়তে পারছেন তাঁর নেতৃত্ব দিয়ে, দেশপ্রেমিক হয়ে।


এ কথা সত্য যে, শেখ হাসিনার জন্য আমাদেরকে কাজের প্রতি একাগ্রতা বাড়িয়ে কর্মী হতে হবে। যেমন, রাজশাহী থেকে পুরো বাংলাদেশের যে অগ্রসর অবকাঠামোগত উন্নয়নের সফলতা, তা আমরা সকলে মিলে উৎসবের হাসিতে ভেসে গেলেও, নেত্রীর সংগ্রামী জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত, দুঃখ ও কষ্টের সহযাত্রী হওয়ার মানসিকতায় সঁপে দিতে হবে প্রত্যেককে। যদিও তিনি একাই তা মোকাবিলা করে মার্ক টোয়েন-এর বিখ্যাত মতবাদকে জিতিয়ে যাচ্ছেন। টোয়েন বলেছিলেন, 'দুঃখ নিজেই নিজের খেয়াল রাখতে পারে কিন্তু আনন্দের পুরোটা উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই তোমাকে তা কারো সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে।'


বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিসমূহকে বলা যায় যে, শেখ হাসিনা শক্ত মাটির ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন। অথচ, এমন করে ছিলেন না আগে। তিনি যথাস্থানে পা রেখেই প্রায় টানা পনের বছর ধরে এই রাষ্ট্রের সেবক হিসাবে নিজের সেরাটা দিচ্ছেন। আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, 'যথাস্থানে পা রেখেছ কিনা তা আগে নিশ্চিত হও, এরপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়াও।' শেখ হাসিনা তাই এমন এক উদাহরণ, যাকে নিয়ে সুবিন্যস্ত গবেষণার খোরাকে পরের প্রজন্ম ভাসবে, তা নিশ্চিতাকারে বলা যায়।


বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী একজন জ্ঞানী সত্তা। নিজের জীবনের যে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে, তা থেকেই তিনি রাজনৈতিক পর্যায়ের দেশি ও বিদেশি অপশক্তি মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। রুশো বলেছিলেন, 'জ্ঞান হলো সকল প্রকার সম্পদের জননী।' আমাদের কৃষ্টি, মৎস্য, শিল্প, পর্যটন খাতের বিকাশে নেতা পেয়েছি। যিনি মায়ের মত। তাঁর ক্ষুরধার জ্ঞান বারংবার করে জানান দেয়, শেখ হাসিনা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নারী ও সকলের জন্য অতি অবশ্যই পরম শ্রদ্ধার জননী।


লেখক: সভাপতিমণ্ডলির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।


বিবার্তা/রোমেল/এনএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com