তিউনিসিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সলিল সমাধির আশঙ্কাই করা হচ্ছে।
লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেছেন, লিবিয়া হয়ে দুটি নৌকায় অভিবাসী প্রত্যাশীরা ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। নৌকা দুইটির একটিতে প্রায় ৫০ এবং অন্যটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিল। দুটি নৌকাই গত বৃহস্পতিবার রাতে একই সময় রওনা হয়। তবে একটি নিরাপদে ইতালি পৌঁছালেও অন্যটা ওই দুর্ঘটনায় পড়ে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশিকে জীবিত এবং এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম উত্তম কুমার। তার বাড়ি শরিয়তপুরের নড়িয়ায়।
তিনি আরো বলেন, নৌকাডুবির পর ৪০-৪৫ বাংলাদেশি এখনো নিখোঁজ, তাদের লাশ উদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই কম।
তিউনিসিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় নৌকাডুবির ঘটনার পর প্রতিবেশী দেশ লিবিয়া থেকে তিউনিসিয়া গেছেন আশরাফুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করেন। নৌ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে আসা ব্যক্তিদের থেকে জেনে এ তথ্য দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের প্রাদেশিক প্রধান মাঙ্গি স্লিমের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া চার বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে আলাপের পর নিহত ২৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় বিষয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, তবে লাশ না পাওয়ার কারণে, তাদের নাম এখনো নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় রেখেছেন তারা।
লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যেতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রওনা হয়েছিলেন ওই নৌযাত্রীরা। ভোররাতে তিউনিসিয়া উপকূলে আরেকটি ছোট নৌকায় তাদের ওঠানোর পর যাত্রীর ভারে তা ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার জেলেরা সাগর থেকে ১৪ বাংলাদেশিসহ ১৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন, তারা এখন দেশটির উপকূলীয় শহর জারভিসে রয়েছেন।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]