বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার আরো বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:২৮
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার আরো বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগ এবং অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক বিশেষ করে সেদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে আরো বেশি শ্রমিক নিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এটি উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে।


৪ নভেম্বর, সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-শিক ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।


রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, 'আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক আরো বিস্তৃত ও উন্নত সম্পর্কের প্রত্যাশা করছি। আমাদের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো উচু পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই'।


কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-শিক উল্লেখ করেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সেনা পাঠিয়েছে এবং সম্প্রতি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান জানান।


রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশ ইতিবাচক মোড় নেওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।


তিনি কোরিয়ার জাহাজ নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে তার সরকারের আগ্রহের কথা জানান।


তিনি আরো জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক কোম্পানি বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে পোশাক কারখানা পরিচালনা করছে।


রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) থেকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা পাওয়া দেশ এবং বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী।


বাংলাদেশে কোরিয়ার মোট ওডিএ (সরকারি উন্নয়ন সহায়তা) ঋণের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৩৪টি প্রকল্পে এই অর্থায়ন রয়েছে।


ইডিসিএফএর আরো ১৪টি প্রকল্প রয়েছে যা চলমান বা সম্ভাব্যতা সমীক্ষার আওতাধীন। এই প্রকল্পে অর্থায়ন হলে কোরিয়ার বিনিয়োগের পরিমাণ ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।


দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমরা চলমান প্রকল্পগুলি নির্বিঘ্নে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা করি।'


রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-শিক বলেন, মাত্র ৫০ বছর আগে কোরিয়া নিজেও ওডিএ সহায়তা গ্রহণকারী দেশ ছিল। তাই আমরা বাংলাদেশের কঠিন পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন রয়েছি এবং উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে ভালো অংশীদার হতে পারি।


তিনি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ইপিএ (অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি) নিয়ে দ্রুত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।


প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অব্যাহত সহায়তা প্রদান করায় কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান।


এ সময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com