পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক ধরনের পরিবেশগত সমস্যা বিদ্যমান, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির সাথে যুক্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, এবং তাই আমাদের এই ব্যবহার কমাতে হবে। উন্নয়নের মডেল গুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং দূষণ রোধে সকলে মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সেমিনার কক্ষে বায়ুন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং ২৪টি পরিবেশবাদী সংগঠনের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, পরিবেশ দূষণের দায় আমাদের এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের উপর বর্তায়। নদী দখল এবং ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা কি সমস্যার অংশ হবো, নাকি সমাধানের।

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ বলেন, কপে যে ইভেন্টে আমরা যাচ্ছি, তা পরিপূর্ণভাবে আত্মস্থ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের মূল বিষয়গুলো জানা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সকলের কাছে তুলে ধরাই সাংবাদিকদের প্রধান কাজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাস, বাংলাদেশ এর ফার্স্ট সেক্রেটারি নাইওকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন বিষয়টি খুবই জটিল। কপ-২৯ কাভারে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে জলবায়ু সমস্যাকে স্বতন্ত্র সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে একসাথে কাজ করতে হবে।

ক্যাপস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, উন্নত শহরগুলো যারা বর্তমানে পরিবেশ বিষয়ক নীতি নির্ধারণ করছে ১০০ বছর আগে তারাই দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে ছিলো। এই দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশ দূষণ গুলোর ফলাফল হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি।

বিবার্তা/এসবি