
পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে শহরের হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ২৪ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। ৫ অক্টোবর থেকে গত আট দিনে এক দশমিক ৪২ মিটার অর্থাৎ প্রায় পৌনে ৫ ফুট পানি বেড়েছে।
অপরদিকে কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৬ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪৪ মিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)। এখানে ৫ অক্টোবর থেকে গত আট দিনে ১ দশমিক ৪৮ মিটার অর্থাৎ প্রায় ৫ ফুট পানি বেড়েছে।
অসময়ে যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে অকাল বন্যার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে। সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের কাটেঙ্গা গ্রামের আব্দুল্লাহসহ বেশ কয়েক কৃষক জানান, টানা আট দিন ধরে যমুনায় পানি বাড়ার ফলে নিচু জমিগুলো তলিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে এসব জমিতে রোপা আমন, কালাই ও বাদাম তলিয়ে গেছে। এছাড়াও সদ্য বোনা শীতকালীন সবজি ও মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে যমুনার তীরবর্তী অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেসব এলাকায় জমিতে থাকা রোপা আমন, কালাই ও বাদাম তলিয়ে গেছে।
অসময়ে নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে আছে যমুনা পাড়ের মানুষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাজমুল হোসাইন বলেন, যমুনায় ক্রমাগত পানি বাড়ছে। এতে যমুনার অভ্যন্তরের চরাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। আরও ২-১ দিন পানি বাড়তে পারে।
তবে বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]