‘পাঠ্যবই থেকে শরীফার গল্প বাদ দেয়ার নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতজানু সিদ্ধান্ত’
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ২০:২৩
‘পাঠ্যবই থেকে শরীফার গল্প বাদ দেয়ার নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতজানু সিদ্ধান্ত’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সম্প্রতি গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ৩৯ পৃষ্ঠায় ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’ নামক অধ্যায়ের ‘শরীফা’র গল্পটি বাদ দেয়ার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। ফলে মন্ত্রণালয়ও গল্পটি বাদ দিতে এনসিটিবিকে নির্দেশ দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মন্ত্রণালয়ের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে।


চলতি বছর থেকেই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষাগ্রহণ শুরু করছে শিক্ষার্থীরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক ও বহুত্ববাদের সোনার বাংলার আদর্শকে সামনে রেখেই প্রণয়ন করা হয়েছে নতুন এই শিক্ষাক্রম। ফলে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক ও একাত্তরের পরাজিত অপশক্তিরা এই শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করে আসছে। সমাজে হিজড়া ও রূপান্তরকামী মানুষের উপস্থিতির বাস্তবতা, সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে বর্তমান সরকার যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন, নতুন এই শিক্ষাক্রম তারই একটি অংশ।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলেই ২০১৩ সালের নভেম্বরে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা প্রণীত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের স্বীকৃতি এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এমনকি বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রকল্পও আছে এই হিজড়া ও রূপান্তরকামী সম্প্রদায় নিয়ে। সমাজের নানাক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, বহুত্ববাদের ধারণা ছড়িয়ে দিতে বর্তমান শিক্ষা কার্যক্রমের রূপরেখা প্রণয়ন করে সরকার। এই শিক্ষাক্রম বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কেননা এর মাধ্যমেই আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক গড়ে তোলা যাবে।


কিন্তু এই শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে কূপমণ্ডুক মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। তারা নানাভাবে এই শিক্ষাক্রম সম্পর্কে নেতিবাচক বক্তব্য ও নানা ধরনের গুজব-অপপ্রচার ছড়াতে থাকে অনলাইনে ও অফলাইনে। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের শরীফার গল্পটি নিয়ে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গি-মানসিকতাসম্পন্ন এক শিক্ষক অযৌক্তিক নেতিবাচক বক্তব্য প্রচার করে, যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু মুক্তচিন্তার মানুষ তার প্রতিবাদ করেছিল এবং সেই শিক্ষককে চাকুরিচ্যুতও করা হয়েছিল। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত আমাদের স্তম্ভিত করেছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৫ জানুয়ারি গল্পটি পর্যালোচনার জন্য ৫ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি’ করেছিল, যেখানে না ছিলেন কোনো চিকিৎসক-মনোবিজ্ঞানী-সমাজবিজ্ঞানী, না ছিলেন যাদেরকে নিয়ে গল্প, তাদের কোনো প্রতিনিধি। ফলে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি এই উচ্চপর্যায়ের ‘বিশেষজ্ঞ কমিটি’র গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এবং এর প্রতিবাদও করেছিল।


বহুত্ববাদের তত্ত্বের ভিত্তিতে যে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হলো, প্রথম পর্যায়েই এ ধরনের কমিটির সুপারিশে সেই কার্যক্রম একটি বড়ো ধাক্কা খেলো বলে মনে করছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।


গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে এই কমিটি গল্পের ১৯টি শব্দ ‘ইসলাম ধর্ম’ ও ‘বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা’র সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে। এমন সুপারিশ বাংলাদেশের মৌল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের আলোকে একটি শিক্ষা কার্যক্রমের ভাষা কিংবা বক্তব্য নির্ধারিত হতে পারে না। কমিটির এই সুপারিশ বাংলাদেশে বিরাজমান মৌলবাদীদের মানসিকতারই প্রতিফলন বলে মনে করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।


কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গল্পটিকে বাদ দেয়ার যে নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় দিয়েছে, তা প্রমাণ করে মৌলবাদ আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতিতে এগিয়ে চলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার গুরুত্ব অনুধাবন করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণেই এ ধরনের নতজানু সিদ্ধান্ত তারা গ্রহণ করেছে, যা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লড়াকু মানুষদের সংগ্রাম ও ইতিহাসকে অশ্রদ্ধারই শামিল। শুধু তা-ই নয়, হিজড়া ও রূপান্তরকামী জনগোষ্ঠীর মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যে কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ করেছে, তার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তাই একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মনে করে, অবিলম্বে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন শিক্ষাক্রমের যাত্রাকে আরও সুসংহত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা হোক। নতুন এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের পথে যে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠী বাধা সৃষ্টি করছে, অনলাইন-অফলাইনে নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। কোনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে আপস করে অতীতেও বাংলাদেশ সামনের দিকে এগুতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। বাংলাদেশের ইতিহাস এই ধর্মান্ধ, মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস। তাদের পরাজিত করে শুভশক্তির মশাল জ্বেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস।


অবিলম্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই নতজানু সিদ্ধান্ত বাতিল ও সর্বস্তরে যুগোপযোগী এই শিক্ষাক্রম পুরোদ্যমে চালুর দাবি জানাচ্ছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।


স্বাক্ষরদাতা


শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অনুপম সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ফওজিয়া মোসলেম, শহীদজায়া সালমা হক, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবেদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী আবুল বারক আলভী, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, কথাশিল্পী ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মানবাধিকার নেতা উষাতন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, সমাজকর্মী মালেকা খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সঙ্গীতশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যজন মামুনুর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূ-তত্ত্ববিদ মো. মকবুল-এ ইলাহী চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল খালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক, এডভোকেট রাণা দাস গুপ্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরন নবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্ত্তী জুয়েল, যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী কামাল ইকরাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর, মানবাধিকার নেতা কাজল দেবনাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠশিল্পী শাহীন সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠশিল্পী ডালিয়া নওশিন, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, পদ্মশ্রী সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লালন সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন, অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান, প্রফেসর ড. ইফতেখারউদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট মো. আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, ড. কানিজ আকলিমা সুলতানা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), ডা. ইকবাল কবীর, অধ্যাপক মো. আলমগীর কবীর, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, শহীদসন্তান ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, শহীদসন্তান শমী কায়সার, অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, এডভোকেট এম সাঈদ আহমেদ রাজা, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান নূজহাত চৌধুরী শম্পা, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, লেখক ব্লগার মারুফ রসূল, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, সংস্কৃতিকর্মী কাজল ঘোষ, সংস্কৃতিকর্মী শামসুল আলম সেলিম, সমাজকর্মী আবু সাদাত মো সায়েম, চারুশিল্পী ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী, চলচ্চিত্র নির্মাতা ইসমাত জাহান, ছাত্রনেতা পলাশ সরকার, সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন, সংস্কৃতিকর্মী বাহাউদ্দিন গোলাপ, ছাত্রনেতা আশেক মাহমুদ সোহান, সমাজকর্মী কেশব রঞ্জন সরকার, অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, সমাজকর্মী এ. বি. এম মাকসুদুল আনাম, অ্যাডভোকেট মালেক শেখ, সমাজকর্মী কামরুজ্জামান অপু, ছাত্রনেতা হারুণ অর রশিদ, ছাত্রনেতা অপূর্ব চক্রবর্তী, লেখক আলী আকবর টাবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা লুবনা শারমিন, সহকারী অধ্যাপক শরীফ নুরজাহান, সাংবাদিক সুশীল মালাকার, সাংবাদিক আবু সালেহ রনি, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, ড. তপন পালিত, ব্লগার অমি রহমান পিয়াল, চলচ্চিত্র নির্মাতা পিন্টু সাহা, সমাজকর্মী হাসান আব্দুল্লাহ বিপ্লব, অ্যাডভোকেট রত্নদীপ দাস রাজু, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, আবৃত্তিশিল্পী মো. শওকত আলী, শহীদসন্তান সাংবাদিক জাহিদ রেজা নূর, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবু, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রানী শীল, ড. তানজীর মান্নান রূপন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এ.এস.এম. শরিফুল হাসান, চারুশিল্পী ইফতেখার খান বনি, সমাজকর্মী আলমগীর কবির, সমাজকর্মী মো. হেলালউদ্দিন, সমাজকর্মী সুমনা লতিফ, সংস্কৃতিকর্মী শামস রশীদ জয়, ডা. সাদমান সৌমিক সরকার, আবৃত্তিশিল্পী আরেফিন অমল, অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, মানবাধিকারকর্মী ফয়সাল হাসান তানভীর, সমাজকর্মী প্রাণতোষ তালুকদার, সমাজকর্মী আবদুল হালিম বিপ্লব, সমাজকর্মী কাজী রেহান সোবহান, সমাজকর্মী মো. আবদুল্লাহ, সমাজকর্মী আনোয়ার ইসলাম রানী, অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক, সাংবাদিক দীলিপ মজুমদার, সংস্কৃতিকর্মী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সংস্কৃতিকর্মী সুচরিতা দেব, অনলাইন এক্টিভিস্ট এইচএম রিয়াজ আবীর, লেখক সাব্বির রহমান খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমেদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী খলিলুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, সাংবাদিক সাইফ রায়হান, লেখক চলচ্চিত্র নির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি, ডা. একরাম চৌধুরী, গবেষক তাপস দাস, সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com