
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম বলেন, বেঁধে দেয়া সময়ের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে মালয়েশিয়া সরকার।
৫ জুন, বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে ঘোষণা করেছি। একটা নির্দিষ্ট ডেডলাইনের মধ্যে বিষয়টি বেঁধে দিয়েছিলাম, যা ৩১ মে ছিল। কারণ, আমরা ১৫টি দেশের জন্য এই সময়সীমার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, ১৫টি দেশের জন্য প্রযোজ্য।
হাজনাহ হাশিম বলেন, আমাদের যদি নতুন করে পুনর্বিবেচনা করতে হয় তাহলে ১৫টি দেশের জন্যই এটা করতে হবে। এর পাশাপাশি ক্রুটিগুলোও সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেছেন। আমি এ বার্তা আমাদের সরকারের কাছে পৌঁছে দেব।
মালয়েশিয়া সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের পরও গত ২ জুন কর্মীদের নামে ‘ভিসা ইস্যু’ হয়েছে- এ বিষয়ে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ তথ্য সঠিক নয়। মালয়েশিয়া সরকার সময়সীমার ব্যাপারে কঠোর।
মালেয়শিয়ায় যাওয়া কর্মীরা কাজ না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, বিষয়টি মালয়েশিয়া সরকার দেখবে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।
এর আগ বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিকাব) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, কর্মীদের ৩১ মের মধ্যেই মালয়েশিয়ায় যেতে হবে। এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না। আর এটা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, বাংলাদেশসহ আরও ১৫টি দেশেও মেয়াদ বাড়ছে না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার জানান, শ্রম বাজারকে কেন্দ্র করে যে সিন্ডিকেটের কথা বলা হচ্ছে, তা বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। শ্রমবাজার ঘিরে গত বছর মালয়েশিয়ার দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। যারা শ্রম বাজারের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ভালো সুযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া মেডিকেল ট্যুরিজম গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের লোকেরা মালয়েশিয়ায় কম খরচে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা নিতে পারে। আমরা চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিদের স্বাগত জানাই।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]