২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৫
২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কেন গুরুত্বপূর্ণ
সামিনা বিপাশা
প্রিন্ট অ-অ+

কাজী মোহাম্মদ আরিফ। তখন বয়স ১৭। বাস করতেন পুরান ঢাকার নারিন্দায়। সময়টা ১৯৭১ সাল। দিনটি ২৫ মার্চ। কাজী মোহাম্মদ আরিফের বয়ানে ২৫ মার্চ কালরাত— '২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি আর্মি যে অ্যাটাক করল, সন্ধ্যা থেকেই আমরা এইরকম একটা আশঙ্কা করছিলাম। কী হবে তা তো জানতাম না, শুধু আশঙ্কায় ছিলাম। আমাদের পাড়ার সবাই সেই রাতে জেগে ছিল। ওরা অ্যাটাক করার পর গোলাগুলির শব্দ আর আলো দেখতে পেলাম। শুরুটা হয়েছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনে। ছাদ থেকে আগুনের যে ভয়াবহতা দেখেছি তা অকল্পনীয়।'



সেদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দিনটি ১৯৭১ সালের ভয়াল ২৫ মার্চ। বছর পরিক্রমায় আজ সেই দিন। এটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। আজ ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস।



১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম 'অপারেশন সার্চলাইট'। এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের ২ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।



পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তৎকালীন পাকিস্তানে পোড়া মাটি নীতি বাস্তবায়নে জেনারেল টিক্কা খান বলেছিলেন, ‘আমি পূর্ব পাকিস্তানের মাটি চাই, মানুষ চাই না’। ২৫ মার্চ ছিল অসহযোগ আন্দোলনের ২৪তম দিন। সেদিন সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্য রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর নামে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের উপরে নির্বিচারে হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে।


২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন। এর আগে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রামের জন্য ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।


কাজী মোহাম্মদ আরিফের বয়ানে পাকিস্তানি হানাদারদের নৃশংসতা ও গণহত্যার ভয়াবহতায় ফিরে যাচ্ছি আবার— 'আমি তখন থাকতাম নারিন্দা। সেদিন নারিন্দাতেই ছিলাম। সেদিন রাতে যখন আক্রমণ করা হয় সে দৃশ্যটা তো আমরা দেখতে পাইনি, শুধু আগুনটাই প্রত্যক্ষ করেছিলাম আর রাতভর গোলাগুলির ভয়াবহ শব্দ। সেদিন রাতটা এভাবেই গেল। ২৬ মার্চ কারফিউ ছিল, আমরা বের হতে পারিনি। মহল্লাতেই ছিলাম, কিন্তু বের হওয়ার উপায় নেই। ২৭ তারিখ বের হলাম। আমি আর আমার এক বন্ধু সারাদিনই পুরান ঢাকার এলাকাজুড়ে ঘুরে বেড়ালাম। আমরা নারিন্দা থেকে বের হয়ে ধোলাইখাল গেলাম। এখান যেটাকে রায়শাবাজার মোড় বলে। সেখানে ইসহাক ব্রাদার্স নামে খুব বিখ্যাত একটা দোকান ছিল। দেখলাম একদম গুড়িয়ে দিয়েছে। তারপর আমরা সদরঘাটের দিকে গেলাম। সবচেয়ে ভয়াবহ দৃশ্য যেটা যাওয়ার সময় দেখলাম রাস্তা দিয়ে যেতে যেতেই ওরা গোলাগুলি, গান দিয়ে ফায়ার করতে করতে গিয়েছে। সদরঘাটে গিয়ে দেখি অনেক লাশ পড়ে আছে। একটা লাশ নদীর তীরে পানি এসে লাগছে আমরা উলটা করতেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। খুব সম্ভবত পেছন থেকে গুলি করেছে, মাথার সামনে সব বের হয়ে একদম বীভৎস অবস্থা। এরকম আরো লাশ পড়ে ছিল। একেবারে ভয়াবহ দৃশ্য। এরপর আমরা কোতয়ালি থানায় গেলাম। সেখানেও একই অবস্থা। মারধর আর গোলাগুলির চিহ্ন সব জায়গা জুড়ে। তাঁতীবাজার আর শাখারীবাজার মোড়ে একটা কোতয়ালি ফাঁড়ি ছিল, ফাঁড়িতেও একই অবস্থা। সারাদিন এইরকম দৃশ্যই দেখেছি।'


প্রত্যক্ষদর্শীর কাজী মোহাম্মদ আরিফ বিবার্তাকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের নৃশংসতার ইতিহাস বয়ানে এরকমটাই বলছিলেন।



২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার সেই নৃশংস ঘটনার স্মরণে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ মহান জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে এক সময় গণহত্যার এই বিষয়টি চাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি অবলেপন। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়।



জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছি, কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এখনো অধরা। স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী পার হয়ে গেলেও পাকিস্তানি বাহিনীর ২৫ মার্চ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালানো হত্যা ও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়টি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক উন্মুক্ত আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়টি সামনে আসে কিন্তু কার্যত ফলপ্রসূ কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি।


এই প্রসঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী বিবার্তাকে বলেন, 'আমাদের শহীদ পরিবারকে যে বিষয়টি দুঃখ ভারাক্রান্ত করে, বাংলাদেশের ২৫ মার্চের যে জেনোসাইড— আমি 'গণহত্যা' নয়, 'জেনোসাইড' বলবো, সেটাকে বিশ্ব এখনো ফরমালি স্বীকৃতি দেয়নি। স্বীকৃতির পথে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে খুব বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারিনি। স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সরকারের যে আলোচনা বা উদ্যোগের প্রয়োজন যেটা আমার খুব শ্লথ মনে হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর পাঁচ দশকের বেশি হয়ে গেছে। এখনো যদি এই জেনোসাইড স্বীকৃতি না পায় তাহলে কিন্তু ইতিহাসের বিবর্তনে আমাদের এই এত বড় যে একটি জেনোসাইড ছিল সেটা মুছে যাবে।'


ডা. নুজহাত চৌধুরী আরো বলেন, এই যে একটা যুদ্ধ হয়েছিল, এই যে হত্যাকাণ্ড হয়েছিল- এটা মানুষ মনে রাখবে। কিন্তু এটি যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ন্যাক্কারজনক ও পূর্বপরিকল্পিত একটি জেনোসাইড, এটা মনে রাখবে না। এখানে উল্লেখ করতে চাই, জেনোসাইডের একটা সংজ্ঞা আছে, সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী আমরা একটি ভয়াবহ জেনোসাইডের সংজ্ঞায় পড়ি। অথচ বিশ্ব সেটা স্বীকার করছে না। স্বীকার না করলে যেটা হবে, যারা ভিকটিম তাদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে না, তাদের পরিবারের শোককে যথার্থ সম্মান জানানো যাবে না, একইসাথে এই নিষ্ঠুর ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের দায়ভারটাকেও লোকচক্ষুর অন্তরালে মুছে ফেলার প্রয়াস থেকে।



ডা. নুজহাত চৌধুরী আরো বলেন, এটা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা দুঃখজনক ঘটনা হবে যদি আমরা একাত্তরের হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের স্বীকৃতি বিশ্ব দরবারের আদায় করে আনতে না পারি। বিশ্ব যেচে এসে স্বীকৃতি দিবে না, সেসময় পাকিস্তানের সাথে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ছিল। তারা কেউ তো চাইবে না যে একটা দোষের ভাগীদার তারাও হতে। সুতরাং বিশ্ব মানবতায় আমরা যদি নিজেদের মানুষ হিসেবে মর্যাদার আসীনে অধিষ্ঠিত রাখতে চাই, তাহলে সকল জেনোসাইডকে স্বীকার করে, মেনে নিয়ে, দোষীদের দোষ স্বীকারে বাধ্য করে, যারা ভিকটিম তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে আমাদেরকে ইতিহাসের পথে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে দোষীরা যদি দায়মুক্ত হয়ে যায় তাহলে এ ধরনের জেনোসাইড বারবার সংঘটিত হবে। যার প্রমাণ হচ্ছে, পাকিস্তান আর্মিরা এখনো কিন্তু নিজের দেশের জনগণের উপর, বেলুচদের উপর জেনোসাইড চালিয়ে যাচ্ছে। গাজায় এত বড় জেনোসাইড হচ্ছে। যারা একদিকে গাজায় ত্রাণ পাঠাচ্ছে, তারাই আবার গাজার বিষয়ে ভেটো দিচ্ছে। আমরা এই দ্বিচারিতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও দেখেছি। ২৫ মার্চের ভয়াবহ ও নৃশংস জেনোসাইড কেন ইতিহাসের অন্তরালে যেতে চলে যাবে? আজকের গাজা হত না যদি বাংলাদেশের জেনোসাইড আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেত!'



ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বিবার্তাকে বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস আগে ছিল না, কিন্তু এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যা দিবস হয়েছে। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ৯ ডিসেম্বরকে স্বীকৃতি দিয়েছে ফলে এটা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। একটা আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হয়েছে, সেক্ষেত্রে ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হওয়ার সুযোগ নেই।


উল্লেখ্য, জাতিসংঘ প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর গণহত্যা প্রতিরোধ ও গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করে। বাংলাদেশও পালন করে দিনটি। জাতিসংঘ দিনটিকে প্রথমবারের মতো উদযাপন করে ৯ ডিসেম্বর ২০১৫। প্রথম মহাযুদ্ধকালে ১৯১৫ সালে তুরস্কের অটোমান সাম্রাজ্য আর্মেনিয়ান সম্প্রদায়ের ওপর চালানো গণহত্যায় নিহতের সংখ্যা ৬ লাখ। ২০২২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা, ব্রাজিল, গ্রিস, লিবিয়া, লেবানন, নেদারল্যান্ডস, সিরিয়া, মিসর, পোল্যান্ড, সুইডেনসহ মোট ৩৩টি দেশ আর্মেনিয়ার গণহত্যা স্বীকার করায় ঘটনাটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। এর আগে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯টি অঙ্গরাজ্য আর্মেনিয়ার গণহত্যা স্বীকার করেছে। ১৯১৫ সালে আর্মেনিয়ান গণহত্যা অবশ্যই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিদার। জাতিসংঘ প্রণীত গণহত্যার মানদণ্ড বিচারে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনার ব্যাপকতা কম নয় বরং বেশি। মাত্র ৯ মাসে যেভাবে যে হারে যতটা নৃশংসতায় বাংলাদেশে মানুষ হত্যা করা হয়েছে তা বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের হুইপ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি বিবার্তাকে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আমরা ২১ ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। ভাষা শহিদদের যে আত্মত্যাগ সেটা আজ সারা বিশ্ব জানতে পারছে। বিশ্বজুড়ে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। একাত্তরের জেনোসাইড সারাবিশ্বে নিন্দনীয় ও ঘৃণিত, বাংলাদেশে তো বটেই। পাকিস্তানি বাহিনী ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলাদেশের ঘুমন্ত মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যে অমানবিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল এবং স্বাধীনতা লাভের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ যে কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এত হত্যা-গণহত্যা করেছে সেই কথা বিবেচনা করে এই দিনটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু, এটি সময়ের ব্যাপার, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পক্ষে যে অবস্থান নিয়েছেন ২৫ মার্চ ঘৃণিত ও নৃশংস এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আসবে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস নিয়ে দেওয়া এক বাণীতে বলেছেন, আমরা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। বিশ্বের যেকোনো স্থানে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।


বিবার্তা/এসবি/রোমেল/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com