
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের মেঝেতে সারাদিন ধরে পরে আছে ফুটফুটে এক শিশুর মরদেহ। গায়ে নতুন গেঞ্জি, পাজামা। পায়ে গোলাপি রঙের মোজা, মাথায় বাঁধা ঝুটি, ফুটফুটে এক শিশু। দেখে বোঝাই যাচ্ছে পরিবারের সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে এসেছিল। কিন্তু, সে এখন লাশ হয়ে পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের মেঝেতে। তার পাশেই রয়েছে একজন নারীর মরদেহ। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেগুলো নিতে আসেনি কেউ।
বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহত হয়েছেন তারা। নিহত শিশুটির মরদেহ বুঝে নিতে আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কেউই আসেনি। ফলে তার পরিচয়ও মেলেনি। একই অবস্থা ওই নারীর। তারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অগ্নিকাণ্ডের পরদিন শুক্রবার (১ মার্চ) বিকাল পর্যন্ত তাদের মরদেহের দাবি নিয়ে কেউ আসেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা অনুমান করছি তারা মা-মেয়ে। চেহারা একইরকম। তাদের কোনো দাবিদার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
শিশুটির শরীরের কোনো অংশ পুড়েনি। ধারণা করা হচ্ছে, অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে মারা গিয়ে থাকতে পারে সে। এছাড়া পাশে থাকা নারীর মরদেহও পোড়েনি। দুজনের মুখই কালচে হয়ে আছে।
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার কথা বলছে পুলিশ। তাদের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
জানতে চাইলে মর্গের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই সুন্দর ফুটফুটে একটা মেয়ে পড়ে আছে। বিষয়টি মেনে নেয়ার মতো নয়। এখনপর্যন্ত ওই শিশুর কোনো স্বজন আসেনি। আমরা অজ্ঞাত হিসেবেই মরদেহটিকে রেখেছি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ নামের একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লাগে। পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ২২ জন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]