জানুয়ারিতে রফতানি আয়ে নতুন রেকর্ড
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৭
জানুয়ারিতে রফতানি আয়ে নতুন রেকর্ড
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

এক মাসে এ যাবৎ বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রফতানি আয় হয়েছে জানুয়ারিতে। আগের সব রেকর্ড ভেঙে গত মাসে মোট রফতানি ৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বিগত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের জানুয়ারি মাসে রফতানি হয়েছিল ৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। আর সদ্য সমাপ্ত জানুয়ারি মাসের আগে একক মাস হিসেবে দেশে সর্বোচ্চ রফতানির রেকর্ড ছিল গত ডিসেম্বরে। তখন মোট রফতানি ৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের।


চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। একক মাস হিসেবে রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে তা নতুন রেকর্ড।


রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রফতানি আয় হয়েছিল ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার। এর আগে এক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ রফতানি হয়েছিল গত ডিসেম্বরে, ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার।


গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল। ওই সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার।


ইপিবির তথ্য বলছে, রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে (জুলাই-জানুয়ারি) পর্যন্ত সাত মাসে পণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ৩ হাজার ৩২৬ কোটি ডলার। এই রফতানি আয় গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। তবে, তা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ কম। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল ৩ হাজার ৫৮৭ কোটি ডলার।


ইপিবি’র প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে তৈরি পোশাক ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের রফতানি কমেছে। এসবের মধ্যে আছে—হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চমড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য ইত্যাদি।


ইপিবি’র তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক থেকে প্রথম ৭ মাসে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ডলার আয় হয়েছে। তা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি, তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমকি ২৩ শতাংশ কম। সাত মাসে পোশাক রফতানির আয়ের লক্ষ্য ছিল ৩ হাজার ২৪ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে নিট পোশাকের রফতানি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে, ওভেন পোশাক রফতানি কমেছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ।


পোশাকের রফতানির ওপর ভর করে রফতানি ইতিবাচক ধারায় আছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।


পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেছেন, রফতানি পণ্যে বৈচিত্র আনার কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও ভালো করছে বাংলাদেশ। এখন আমরা নতুন নতুন বাজার খুঁজছি। আশা করছি, আগামী দিনগুলোতেও রফতানির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে।


তৈরি পোশাকের বাইরে রপ্তানি তালিকার শীর্ষে থাকা পণ্যে রফতানি কমেছে গত সাত মাসে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে পাট ও পাটপণ্যের রফতানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম হয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ।


এছাড়া, হোম টেক্সটাইলের রফতানি কমেছে ৩৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আরও অনেক পণ্যের রফতানিই কমার প্রবণতার মধ্যে আছে। অবশ্য কৃষিপণ্যের রফতানি চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে এবং প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com