চুয়াডাঙ্গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বুধবার বৃষ্টির আভাস
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫১
চুয়াডাঙ্গায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, বুধবার বৃষ্টির আভাস
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিনই ওঠা নামা করছে। গতকাল জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও আজ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।


চলতি শীতে বেশিরভাগ সময়ই এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ভৌগোলিক অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শীত মৌসুমের অধিকাংশ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হয় বলে মনে করেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।


চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী সোমবার, ২৯ জানুয়ারি সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।


আর সকাল নয়টায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।


আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে, তা হয় মাঝারি আর তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গায় আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।


এর আগে গতকাল রবিবার, ২৮ জানুয়ারি সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।


আর সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।


সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় এবং উত্তর থেকে ধেয়ে আসা কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকায় স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।


এদিকে তীব্র শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোটাভাইরাস জনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।


শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।


দিনমজুর আলতাফ হোসেন বলেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে সকালে বাইরে বের হতে কষ্ট হলেও কাজের খোঁজে শহরে আসতে হয়। পেটতো আর ঠান্ডা গরম মানে না।


এছাড়া আগামী বুধবার, ৩১ জানুয়ারি থেকে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।


বিবার্তা/আসিম/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com