সারা দেশের সব পোশাক কারখানায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সদস্যদের কারখানার গেটে নিয়োগ বন্ধ নোটিশ টাঙানোর নির্দেশনা দিয়েছে সংগঠনটি।
শ্রমিক কারখানায় ঢুকে কাজ না করলে শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিজিএমইএ নেতারা। এছাড়া যেসব কারখানায় গত কয়েক দিনে ভাঙচুর হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষকে মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভাঙচুরের ছবি, সিসিটিভি ফুটেজের কপি থানায় দেওয়ার পাশাপাশি বিজিএমইএকেও দিতে বলেছেন নেতারা।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করে আসছেন। এরপর নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চান্দনা চৌরাস্তায় লিবাস নিটওয়্যার, হাসান তানভীর ফ্যাশনসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন।
এখন পর্যন্ত ভাঙচুর ও সহিংসতার অভিযোগে এ পর্যন্ত র্যাব ২৭ জনকে আটক করেছে। এ ছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলা যুবদলের এক নেতা সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আন্দোলন চলাকালে শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষে এ পর্যন্ত মারা গেছেন দুই জন শ্রমিক।
৭ নভেম্বর পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে মজুরি বোর্ড। আগামী ডিসেম্বর থেকে এ মজুরি কার্যকর হবে। কিন্তু বর্ধিত এ মজুরি প্রত্যাখ্যান করে পরদিন থেকে আবার সড়কে নামে পোশাকশ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]