মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের জাতীয় পার্টির এমপি ও দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
২৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, শুনেছি আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি অখুশি না। আমার যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছরের ভিসা আছে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে একবারও যাইনি। এখন যাওয়ার কোন ইচ্ছা নাই, সুযোগও নাই।
তিনি বলেন, ভিসানীতি আমেরিকার নিজস্ব বিষয়। আমার দেশে যদি কাউকে আসতে না দেই, যদি মনে করি এই লোকগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর তাহলে বলার কিছু নেই। আমি মনে করি এটা দেশের জন্য ভালো। আমি এটাকে ভালোই বলছি। নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে, গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরুর ঘোষণা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
কেন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয় না এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেন, ভিসানীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেয়া হবে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয় না। কারণ, কাউকে ভিসা না দেয়াসহ যেকোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।
এর আগে, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এখনও পর্যন্ত সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে অনড় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]