সমালোচনার কেন্দ্রে নুর, ভেঙেছে ছাত্রসংগঠনও!
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ১০:২১
সমালোচনার কেন্দ্রে নুর, ভেঙেছে ছাত্রসংগঠনও!
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ সভাপতি (ভিপি) এবং গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের। গণ অধিকার পরিষদ নিয়ে বহিষ্কার, পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনায় নানা নাটকীয়তার পর এবার সংগঠনটির অঙ্গ সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সকল নেতৃবৃন্দ একযোগে পদত্যাগ করেছে।



এদিকে নুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সাথে বৈঠক নিয়েও চলেছে জোর সমালোচনা। শুধু তাই নয়, পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে নুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব। সর্বশেষ কিডনি বিকলের নামে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও এসেছে তার নামে। নানা ইস্যুতে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নুর বলছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।



২৩ জুলাই, রবিবার দুপুরে আদর্শে বিচ্যুতি ও সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নুরের সংগঠনের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার ২১ নেতা পদত্যাগ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ। এসময় সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


পরে সভাপতি আসিফ মাহমুদ পঠিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে ওঠা একটি ছাত্র সংগঠন। কোন প্রকার দলীয় লেজুরবৃত্তি না করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকাই ছিল যার অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ (লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য) এর ১নং ধারায় দলীয় দাসত্ব ও লেজুরবৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে স্বাধীন ধারায় ছাত্র রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করার কথা বলা হয়েছে।



বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ১০ জুলাই ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ এর ১নং ধারা লঙ্ঘন করে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক গণঅধিকার পরিষদের লেজুরবৃত্তি করার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।



এই বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বিবার্তাকে বলেন, আমাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও দুই সপ্তাহে কেন্দ্রীয় পরিষদ উক্ত বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র ও ছাত্র সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুত আদর্শের বিচ্যুতি ঘটেছে বলে আমরা মনে করি। এমন অবস্থায় লেজুরবৃত্তিহীন ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা একযোগে পদত্যাগ করেছি।



এই বিষয়ে সংগঠনটির ঢাবির শাখার সদ্য পদত্যাগ করা সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান বিবার্তাকে বলেন, কেন্দ্রীয় দুই নেতার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ ছিল। আর সেই বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি সংবাদ সম্মেলনে। আর সেটাই আমাদের বক্তব্য। কোনো লেজুরবৃত্তি ছাত্ররাজনীতি আমরা চাই না।


এদিকে এই সংবাদ সম্মেলনের ঘটনায় একই দিন রাতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় পরিষদ এই বিষয়ে তাদের ব্যাখা প্রদান করে।


ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা গঠনতন্ত্রের কোন ধারাতেই উল্লেখ নেই। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একটি খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ছাত্র অধিকার পরিষদের উদ্যোগে যুব অধিকার পরিষদ ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ গঠিত হয় এবং ২০২১ সালে ছাত্র অধিকার পরিষদ ও উক্ত দুই সংগঠনের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদ গঠিত হয়। এমতাবস্থায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক রূপান্তর প্রক্রিয়া চলমান। ছাত্র অধিকার পরিষদের খসড়া গঠনতন্ত্রটি প্রক্রিয়াধীন, এখনও চূড়ান্ত নয়।


ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বিবার্তাকে বলেন, পরিষদের ঢাবি শাখার নেতৃবৃন্দের একযোগে পদত্যাগের বিষয়ে ইতোমধ্যে আমরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি এবং আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছি। তারপরেও কিছু কথা না বললেই নয়। এই বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল। তারা লিখিত আকারে আমাদের অভিযোগ দিতে পারত। কিন্তু তা না করে সংবাদ সম্মেলন করে এই কাজ করা হলো। এখন আমি যদি বলি, পরিষদের ঢাবি শাখা ৩ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও ৬ মাসেও তা করতে পারেনি- অথচ তারা গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের কথা বলছে৷ আমাদের গঠনতন্ত্র খসড়া গঠনতন্ত্র, চূড়ান্ত না। তারপরেও আমাদের কোন কাজে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন হয়নি। আমাদের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট করে লেখা আছে, কোন ধারা নিয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিলে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সেটার ব্যাখা দিবেন। তাই আমি মনে করি, গঠনতন্ত্র নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন হয়নি।


ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখা কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধে গণ অধিকার পরিষদের সাথে লেজুরবৃত্তি করার অভিযোগ এনেছে। এই বিষয়ে কী বলবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদকে স্বাধীন, স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে দেখাতে চেয়েছে। কিন্তু এটা তো বাস্তবসম্মত বক্তব্য না। এর আগে তারাও গণ অধিকার পরিষদের মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছে। এমনকি সর্বশেষ কাউন্সিলেও তারা নির্বাচিতদের সাথে দেখা করে ফুল দিয়েছে। এতোদিন সব করলেন, ফুল দিলেন কিন্তু হঠাৎ করে কী এমন হলো? যার জন্য আপনারা এখন স্বাধীন, স্বতন্ত্র থাকতে চান। আপনাদের নৈতিক ভিত্তি এখন কোথায়? কাজেই আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি দোষী হলে আপনারাও দোষী।



ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি ‘গণ অধিকার পরিষদের’ পদ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, দেখুন- আমাদের গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট করে বলা আছে সংগঠনের স্বার্থে দ্বৈত পদ নিলে কোন অসুবিধা নাই। এজন্য আমাদের গণ অধিকার পরিষদের সম্মানসূচক সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে।


ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা এটা বলতে পারতো- তাদের চিন্তাভাবনার সাথে আমাদের চিন্তাভাবনার মিল নেই। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের বিষয় মানা যায় না।


নুরদের সংগঠনের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কাজ করা সংগঠনটি থেকে হঠাৎ করে এভাবে একযোগে ২১ জনের পদত্যাগের ঘটনায় উঠেছে নানা প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে নুরের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ক্ষুব্ধ হয়েছে ঢাবি শাখা। আর এই কাজে লেজুরবৃত্তি করে নুরকে সহায়তা করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় কমিটি। যা পছন্দ হয়নি ঢাবি শাখার। ফলে তারা একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।


এদিকে নুরের সঙ্গে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ২৪ জুলাই, সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।


নুরের বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিবার্তাকে বলেন, কেএনএফের ভেরিফায়েড পেজে থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (নুরুল) সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা কেএনএফের সঙ্গে যোগাযোগের আলামত পেয়েছি। এই যে যোগাযোগ রয়েছে কি না, কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, এটা নিয়ে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। যদি গোয়েন্দারা কেএনফের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা পায় , তখন বলা যাবে। তবে বাহ্যিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তাতে যোগাযোগ থাকতেও পারে।



২৪ জুলাই, সোমবার নুরের বিরুদ্ধে এসেছে কিডনি বিকলের দোহাই দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগও। কিডনি বিকল ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের জন্য দু’জনকেই বিদেশ পাঠাতে হবে এবং সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০ লক্ষ টাকা লাগবে- এই মর্মে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলেন নুর। পরে এই বিষয়ে চিকিৎসক ও নুরের মেডিকেল বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্বে থাকা আমিনুল ইসলাম ফেসবুকে পোস্টে এই ঘটনার নানা অনিয়মের তথ্য জানিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ দেন। এরআগেও নুরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সাথে তার বৈঠক নিয়েও হয়েছে জোর সমালোচনা।


সংগঠন থেকে অঙ্গসংগঠনের ২১ নেতার একসাথে পদত্যাগের বিষয়ে অবগত করে মন্তব্য জানতে চাইলে নুরুল হক নুর বিবার্তাকে বলেন, দেখুন- নানা ষড়যন্ত্র করে সরকার আমাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। আমাদের সংগঠনগুলোর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে ছাত্র অধিকার পরিষদ বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে না পারে। তবে এতে আমরা মোটেও বিচলিত নয়। কিছু নেতাকর্মী পদত্যাগ করলে আমাদের সংগঠনের কোন কাজে এর প্রভাব পড়বে না। আমাদের মূল নেতৃত্ব আন্দোলনে রয়েছে।


নানা ইস্যুতে সমালোচিত হওয়ার বিষয়ে অবগত করে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এমনকি অনেক মিডিয়ায়ও ভুল তথ্যে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। যেমন ধরেন- মোসাদের ইস্যুতে আমাকে জড়ানো হলো। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলি, ওই মিটিংয়ের যদি কোন ভিডিও কিংবা অডিও থাকে, তাহলে তারা প্রকাশ করুক। আমাদের গণ অধিকার পরিষদের আর্থিক অস্বচ্ছতার বলা হলো। সেক্ষেত্রেও আমরা বলেছি আমাদের সমস্ত আর্থিক হিসাব রয়েছে।


নুর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে র‍্যাবের প্রেস ব্রিফিংয়েও আমাকে নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এক গণমাধ্যমকে দেখলাম বলা হলো- আমাকে নাকি বিকাশে টাকা দেওয়া হয়েছে। অথচ এই তথ্যের যাচাই-বাছাইও করা হলো না। তবে এসবে আমি বিচলিত না। নেগেটিভ হলেও তারা আমাকে প্রচার-প্রচারণায় রেখেছে। সেটা আমাদের জন্য ইতিবাচক বলে আমি মনে করি।


উল্লেখ্য, গণঅধিকার পরিষদ এখন দুইভাগে বিভক্ত। একদিকে ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশ। অপরদিকে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে আরেক অংশ।


বিবার্তা/রাসেল /রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com