৫ শতাংশ প্রণোদনায় সরকারি চাকরিজীবীদের অসন্তোষ
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ২০:০৩
৫ শতাংশ প্রণোদনায় সরকারি চাকরিজীবীদের অসন্তোষ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

৮ম পে-স্কেল অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে এমনিতেই ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পাবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে জুলাই থেকে ১০ শতাংশ বেশি বেতন পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।


প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে সাধুবাদ জানালেও প্রণোদনায় নাখোশ অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা বলছেন, ৫ শতাংশ প্রণোদনা বর্তমান বাজারদর ও মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই প্রণোদনা নয় বরং স্থায়ীভাবে কমপক্ষে ২০ শতাংশ বেতন-ভাতা বাড়াতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দাবি মেনে নেওয়া না হলে ঈদের পর আবার আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।


জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৫ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণায় বেতন বাড়ার জট খুলেছে। কিন্তু এটা বর্তমান বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।


তিনি বলেন, আমরা প্রণোদনা চাইনি, চেয়েছি বেতন বৃদ্ধি বা মহার্ঘ্য ভাতা। মুজিববর্ষে দিলে সেটা হতো প্রণোদনা। এখন বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে বেতন-ভাতা বাড়ানো দরকার। প্রণোদনায় কাজ হবে না। ঈদের ছুটির পর সব সংগঠনের সঙ্গে বসে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্তমান বাজারের সঙ্গে মিল রেখে বেতন বাড়ালে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সেখানে ৫ শতাংশ বেতন বাড়ানো যুক্তিযুক্ত নয়। তার যুক্তি, গত আট বছরে প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট দিয়েছে ৫ শতাংশ করে। তাহলে মোট বাড়ল ৮×৫=৪০ শতাংশ, এর সঙ্গে প্রণোদনা ৫ শতাংশসহ মোট ৪৫ শতাংশ বাড়ছে বলা যায়। কিন্তু দ্রব্যমূল্য বেড়েছে গড়ে ১০০-১১০ শতাংশ। বাকি ৫৫ থেকে ৬৫ শতাংশ গ্যাপ কীভাবে পূরণ করবেন চাকরিজীবীরা?


অবশ্য অনেকে মনে করছেন, এই সংকটের সময়ে প্রণোদনা দেওয়াটাই যথেষ্ট। এখন পে-স্কেল দেওয়া বা বড় পরিসরে বেতন বৃদ্ধির সময় নয়।


২০১৫ সালে ৮ম পে-স্কেল দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হবে সরকারি কর্মচারীদের। সে অনুযায়ী তা হয়েও আসছে। ওই পে-স্কেলে বলা ছিল মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হবে। কিন্তু প্রতি বছর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টে দেওয়া হচ্ছে। ইনক্রিমেন্টের পরিমাণ বাড়ছে না। নতুন করে বেতন বৃদ্ধি ও পে-স্কেলও দেওয়া হয়নি। এছাড়া মহার্ঘ্য ভাতা বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধাও এর মধ্যে দেওয়া হয়নি।


এদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে ক্ষেত্র বিশেষে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত। মূল্যস্ফীতি এখন দশের কাছাকাছি। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে নতুন পে-স্কেল দেওয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com