ভাতা বাড়ানোর দাবিতে কর্মসূচি আজকের মতো স্থগিত করেছেন বেসরকারি পোস্টগ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা। তবে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ভাতার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন না দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রাইভেট পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।
এদিকে কর্মবিরতিতে গেলে চিকিৎসকদের ‘কোর্স আউট’ করার কথা জানিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
১৩ জুন,মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপাচার্য এবং আন্দোলনকারীরা এসব তথ্য জানান।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা উপাচার্যের আশ্বাসে আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষাণা করছি। তবে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে কর্মবিরতিতে যাবো।
এদিকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আন্দোলনকারীরা যদি কর্মবিরতিতে যেতে চায়, তাহলে কিন্তু ‘কোর্স আউট’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আমাদের আইনে আছে, কোনো শিক্ষার্থী টানা তিন দিন ক্লাসে উপস্থিত না থাকে, তাহলে তাদের বের করে দেওয়া যাবে।
তাদের কর্মবিরতি প্রভাব পড়বে না জানিয়ে ভিসি বলেন, তারা তো চিকিৎসক না, তারা আমাদের ছাত্র। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসক আছেন, রোগী সেবায় তাদের দরকার নেই। তাদের ছাড়াও আমাদের চলবে। আমরা আমাদের সেবা পুরোদমে চালিয়ে যাব।
তবে আন্দোলনরতদের আশ্বাস দিয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, তারা আমাদের সন্তানের মতো, তাদের আমরা বুঝিয়েছি যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সচিবের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি পূরণের চেষ্টা করব। আমি ইতোমধ্যে তাদের সাথে কথা বলেছি। প্রয়োজনে তাদের সাথে নিয়ে আমি মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলব। তাদের আমি সবভাবে বুঝিয়েছি। তারপরও যদি তারা কর্মবিরতিতে যায়, তাহলে তারা কোর্স আউট হয়ে যেতে পারে।
এর আগে বেলা ১১টায় প্রাইভেট পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে উপাচার্যের কার্যালয়ের নিচে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। তারা বলেন, ২০১৯-২০ সেশন থেকে নন-রেসিডেন্স কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯-২০ সেশনের স্টুডেন্টরা সেই ভাতা নিয়মিত পেলেও এর পরের বছর থেকেই তা অনিয়মিত হয়ে যায়। ২০২২-২৩ সেশনের নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা ১২ মাসের মধ্যে মাত্র তিন মাসের ভাতা পেয়েছে, বাকি নয় মাসই বকেয়া। কোর্সে থাকাকালীন অন্য কোনো চাকরি, ডিউটি, চেম্বার ইত্যাদি করার অনুমতি না থাকায় এই কোর্সের ডাক্তাররা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। একেবারেই শূন্য হাতে ধার-কর্য করে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে দেশসেরা মেধাবী এই চিকিৎসকদের।
এরপর সেখান থেকে দাবি আদায়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় তারা ৫০ হাজার টাকা ভাতা দাবিসহ তিন দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। তারা বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক ভাতা বাড়াতে হবে।
বিবার্তা/রাসেল/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]