বিশ্ব পরিবেশ দিবস
পুরান ঢাকায় অবৈধ স্থাপনা এবং পুকুর হত্যার আয়োজন!
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ০৯:৫৯
পুরান ঢাকায় অবৈধ স্থাপনা এবং পুকুর হত্যার আয়োজন!
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির নেতৃত্বে ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর দিনটিকে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এই বছর বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে, ‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে’ আর স্লোগান দেয়া হয়েছে, ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’।


বলাবাহুল্য, প্রতিবছর এই দিনটির জন্য যেভাবে নানা প্রতিপাদ্য ঠিক করে দিবসটি উদযাপন করা হয়, সারাবছরই ঠিক তার উল্টো কাজগুলো করা হয়। ফলে দিনকে দিন জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তারমধ্যে রাজধানী ঢাকা সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে। কংক্রিটের এই শহরে একদিকে যেমন গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণ বেড়েই চলেছে, অন্যদিকে শহরে জলাশয়ের সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও পুকুর-খাল ভরাট করা হচ্ছে! ফলে ইট পাথরের জঞ্জালের এই শহর প্রতিদিনই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।



পরিবেশবিদরা বলছেন, পরিবেশ দিবসে আসলে পরিবেশবান্ধব কথা বলা হবে, কিন্তু ঠিকই সারাবছর জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করা হবে। এই আই ওয়াশের মানে কী? আর রাজধানী ঢাকাকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে কথা নয়, কাজের মাধ্যমে এই শহরকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে বৃক্ষরোপন ‍বৃদ্ধিসহ জলাশয়গুলো সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।



তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকা শহর অগ্নিঝুঁকি, তীব্র তাপপ্রবাহ ও বায়ুদূষণের শীর্ষে থেকে যখন আলোচনায় রয়েছে, ঠিক সেই সময়ে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় চলছে জীবন্ত পুকুরকে ভরাটের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা। ঐতিহ্যবাহী এই পুকুরটির নাম ডিআইটি প্লট পুকুর। ১৯৬৩ সালে গেণ্ডারিয়ায় ১৩ দশমিক ৫৭ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি), বর্তমানে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক)। এর মধ্যে দুই একরের এই পুকুরও ছিল।


সরেজমিনে দেখা যায়, আগে এই পুকুরটি স্থানীয়দের গৃহকর্মের পানি সংগ্রহ থেকে শুরু করে নানান কাজে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে পুকুরটিতে প্রবেশের পথই পাওয়া দুষ্কর! কেননা, পুকুরের চারপাশ দখল করে সেখানে মার্কেট, হোটেল, স্বর্ণের দোকান, দোতলা গার্মেন্টস, ফুচকা-চটপটির দোকানসহ নানা ধরনের স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। পূর্ব পাশে রিকশার কয়েকটি গ্যারেজ বানিয়ে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। পশ্চিম পাশে দক্ষিণ সিটির ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই পুকুরটিকে মাটি, ইট, বালি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ফলে এটিকে রক্ষার দাবিতে স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশবাদীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। তারা পুকুরটিকে কেন্দ্র করে মানববন্ধন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছিল। শুক্রবার, ২ জুন এই কর্মসূচি হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।


স্থানীয়রা জানান, ঐতিহ্যবাহী ডিআইটি পুকুরটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কবলে পড়ে হারাতে বসেছে। দিনকে দিন পুকুরের চারপাশ ছোট হয়ে আসছে। এলাকার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান ওরফে শহিদ কমিশনার এই পুকুর দখল করে সেখানে দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা বানিয়ে ভাড়া দিয়ে মাসে কয়েক লাখ টাকা অবৈভাবে আয় করছে। আর তাকে এই কাজে সহায়তা করছেন তার কন্যা ও বর্তমান ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহানা আক্তার। পুকুরটি নিয়ে মামলাও আছে, সেটিও পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি। তারপরেও কথিত জমির মালিক জাকির হোসেনের সাথে যোগসাজশে তারা বাপ-মেয়ে পুকুর ভরাট করছে।


পণ্ড হয়ে যাওয়া মানববন্ধনের উদ্যোক্তা ও আহ্বায়ক ইব্রাহিম আহমেদ রিপন বিবার্তাকে বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবিতে মানবন্ধন করতে চাইলেও আমাদের তা করতে দেয়া হয়নি। তবে আমরাও বসে থাকব না। ইতোমধ্যে আমরা পরিবেশবিদসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি। তাদের সবাইকে নিয়ে শুধু ওই এলাকার লোকজন নয়, পুরো ঢাকাবাসীকে নিয়ে আমরা আন্দোলন করব। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। মোটকথা, পুকুর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ পুকুর দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।


হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আমরা রাজউক ও সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও করতেও পিছ পা হব না। আমরা পুকুরটিকে অবিলম্বে দখলমুক্ত চাই।


স্থানীয় কয়েকজন বিবার্তাকে বলেন, গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা আমাদের জানান দিয়ে গেল পানির সঙ্কটের কথা। সেই দিন পানির অভাবে আগুন নেভাতে বেশ সময় লেগেছে। সেসময় দিশেহারা হয়ে হেলিকপ্টারে করে পানি আনতে হয়েছে হাতিরঝিল থেকে। অথচ সেই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরের পানি এই কাজে খুবই সহায়তা করেছে। একবার ভাবেন তো, গেণ্ডারিয়ার ডিআইটি পুকুর যদি বেদখল হয়ে ভরাট হয়ে যায়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে, তার কী হবে? তাই এতসব জেনেও এ এলাকার গাছ কাটা কিংবা পুকুর-জলাশয় ভরাট করা- নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারার সামিল!


তারা আরও বলছেন, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান শহিদের দিকনির্দেশনায় এই পুকুর দখল হচ্ছে। এখান থেকে মাসে সে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে। সে এতোটাই বেপরোয়া যে, আল্লাহ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নেই!


এদিকে গেণ্ডারিয়া ডিআইটি পুকুরের ভরাট বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকের্টে রিট করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। রবিবার, ৪ জুন সকালে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়। রিটে পরিবেশ অধিদফতর, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সিইও, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহানা আক্তার, সাবেক কাউন্সিলর সাইদুর রহমানসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।


অবৈধ স্থাপনসহ পুকুর ভরাটের অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান শহিদ বিবার্তাকে বলেন, এই বিষয়ে আপনি রাজউক, হাইকোর্ট- এসব জায়গায় খবর নেন।


এই বিষয়ে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহানা আক্তার বিবার্তাকে বলেন, রাজউক জায়গাটি অধিগ্রহণ করেছে কিন্তু এখন এটি ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তি, সরকারি নয়। উচ্চ আদালত থেকে জাকির হোসেন এ রায় পেয়েছেন। আমি তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি।


পুকুরের কথিত মালিক জাকির হোসেন বলেন, আমি নিজেই পুকুরের মালিক। কিন্তু এরপরেও একটি অসাধু চক্র এটিকে সরকারি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে পুকুরটিকে ভরাট করা হবে না, যেভাবে আছে সেভাবে রাখা হবে।


পুকুর দখল হওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) কামরুল ইসলাম বিবার্তাকে বলেন, গেণ্ডারিয়া ডিআইটি পুকুরের বিষয়টি এখন উচ্চ আদালত আছে। আর আমরা পুকুরটি দখলমুক্ত করতে আরেকটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।


পুকুরস্থ এলাকা ঢাকা-৪ এর সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বিবার্তাকে বলেন, এই পুকুরের পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ পুকুর রক্ষার যে দাবি উঠেছে তা অবশ্যই যৌক্তিক। এখানে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। ফলে সেখানে গুটি কয়েক লোকের কয়েক কোটি টাকার স্বার্থের জন্য এই পুকুরকে আমরা হারাতে দিতে পারি না। এই পুকুরকে ঘিরে পরিবেশবাদীরা যেসব কথা বলেছেন আমি তার সাথে একমত।


গেণ্ডারিয়ার ডিআইটি পুকুরে নানা স্থাপনা নির্মাণসহ দখলের চেষ্টার বিষয়ে অবগত করে মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বিবার্তাকে বলেন, অবৈধভাবে যদি কোনকিছু দখল হয়ে যায়, তাহলে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চালান হয়। গেণ্ডারিয়া পুকুরটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



গেণ্ডারিয়ার ডিআইটি পুকুর দখলের চেষ্টা: কী বলছে আইন ও পরিবেশবাদীরা?



পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ডিআইটি পুকুরের অবৈধ স্থাপনাসহ পুকুর দখলের বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। পরিবেশ আইন-১৯৯৫, প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০, পানি আইন-২০১৩, ভূমি ব্যবহার আইন ও ড্যাপ ২০১৬-৩৫ সহ অনেকগুলো আইনে সুস্পষ্ঠভাবে বলা আছে পৌর, মহানগরী, জেলা ও বিভাগীয় শহরে মালিকানা যারই হোক না কেন, প্রাকৃতিক জলাধার কোনোভাবেই ভরাট করা যাবে না।


আইনে শাস্তির বিষয়ে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।


এদিকে ডিআইটি পুকুরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দ্রুত পুকুরটি উদ্ধারের উদ্যোগ না নিলে পরিবেশ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন ও রাজউকের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্রয়াস ‘বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)’। শনিবার ,৩ জুন বিকেলে জোটের সদস্য সচিব ও পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ আওয়ার সি-এর মহাসচিব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ বার্তায় এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।


পুকুর রক্ষার আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে পুরান ঢাকায় পুকুর রয়েছে মাত্র ২৪টি। যার মধ্যে ডিআইটি প্রকল্পের পুকুরটি অন্যতম একটি বড় জলাধার। যা আশাপাশের এলাকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, অগ্নি নির্বাপন, ভূগর্বস্থ পানির সংস্থান, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণসহ নানানভাবে ভূমিকা রেখে আসছে। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যমতে গত ২০১৭ সাল থেকে পুকুরটিতে দখল চলছে। সম্প্রতি এই পুকুরে আবারও মাটি ফেলে ভরাট করছে একটি পক্ষ। আইন অমান্য করে এভাবে পুকুর দখলের খবর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবেই ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ) এর সদস্যভুক্ত সংগঠনগুলোসহ পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করা প্রত্যেককেই।


এই বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির মহাসচিব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক বিবার্তাকে বলেন, অধিগ্রহণ সূত্রে এই পুকুরের মালিক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কেন, কিভাবে পুকুরটির মালিকানা বেহাত হলো, এর দায় কার, সেটি দ্রুত বের করা, পুকুর রক্ষায় স্থানীয়দের মানববন্ধন করতে না দেওয়ার কারণ উদঘাটন এবং দ্রুত এই পুকুরটিকে তার পূর্বের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে। শিগগিরই দাবি আদায়ে পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো স্থানীয়দের নিয়ে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবে।


বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বিবার্তাকে বলেন, পুকুরটি ব্যক্তি মালিকেরই হোক কিংবা সরকারের হোক, এক্ষেত্রে আইন হচ্ছে পুকুর ভরাট করা যাবে না- সরকারি অনুমোদন ছাড়া এবং অপরিহার্য জাতীয় প্রয়োজন ছাড়া। কিন্তু এখানে আমি কোন অপরিহার্য জাতীয় প্রয়োজন দেখতে পাচ্ছি না, একইসাথে সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন আছে বলেও আমার জানা নেই। কাজেই পুকুর দখল অনতিবিলম্বে জনস্বার্থে বন্ধ করতে হবে। কারণ, এই পুকুরটা শুধুমাত্র ঐ এলাকার তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে তা না। আরেকটা বিষয় দেখেন, পুরান ঢাকায় যখন অগ্নিকাণ্ড ঘটে তখন আগুন নেভানোর জন্য পানি পাওয়া যায় না। যার জন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেড়ে যায়। কাজেই অগ্নিনির্বাপণের জন্য হলেও এই পুকুরটিকে আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে।


তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বেঁচে আছে মাত্র কয়েকটি পুকুর। কাজেই এই পুকুরটাকে আমরা হারাতে দিতে পারি না।


বিবার্তা/এমআর/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com