পঙ্গু হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন চিলমারীর স্কুলশিক্ষিকা মুন্নি
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৫
পঙ্গু হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন চিলমারীর স্কুলশিক্ষিকা মুন্নি
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

একমাত্র কন্যা সন্তানের জন্য বাঁচতে চায় চিলমারীর এভাসকুলার নেক্রসিস (এভিএন) আক্রান্ত মাহমুদা আক্তার মুন্নি। দীর্ঘ ১মাস ধরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তিনি। এভাসকুলার নেক্রসিস (এভিএন) রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তিনি।


শুধু হিপ জয়েন্ট অপারেশনের কথা থাকলেও বর্তমানে তার হাটু পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনিতেই দুটি হিপ জয়েন্টে বল প্রতিস্থাপন করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। তার উপর হাটু পর্যন্ত হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবরে ভেঙে পড়েছেন মুন্নি। কোথা থেকে আসবে অর্থ? কিভাবে হবে তার অপারেশন? এমন নানা চিন্তা মাথায় নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে দিন যাচ্ছে তার। এদিকে শনিবার (২৮জানুয়ারি) সকালে মুন্নির শাশুড়ির মৃত্যুর আরো ভেঙে পড়েছেন তিনি। এ যেন মড়ার উপর খড়ার ঘা।


কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ীহাট শিকার পাড়া এলাকার রিকশাচালক মঞ্জু মিয়ার মেয়ে মাহমুদা আক্তার মুন্নি (৩২)। উচ্চশিক্ষা অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও অর্থাভাবে তা করতে পারেননি। সংসারের অভাব মিটাতে ২০০৭ সালে এইচএসসি পাশ করা মুন্নি স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিয়ে হয় বজরাতবকপুর পুটিমারী এলাকার মমিনুল ইসলাম নামে এক যুবকের সাথে। তাদের ১২বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বেকার স্বামীর সংসারে থেকে কিন্ডার গার্টেন স্কুলে চাকরি করে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনো রকমে তাদের সংসার চলে। দীর্ঘ দিন পায়ে ব্যাথা। তারপর সেই ব্যাথা কোমর পর্যন্ত উঠতে থাকে। ব্যাথার কারণে আস্তে আস্তে চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায় মুন্নির। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারেন এভাসকুলার নেক্রসিস (এভিএন) রোগে আক্রান্ত তিনি। অর্থাৎ দুটি হিপ জয়েন্টই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুটি বলসহ গোটা হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। আর এজন্য সবমিলে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার প্রয়োজন। রিকশাচালক গরিব পিতা এবং বেকার স্বামীর পক্ষে এত টাকা যোগান দেয়া অসম্ভব।


মাহমুদা আক্তার মুন্নি জানান, বিভিন্ন বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তিনি চিচিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের নবম তলায় ৯৩৭নং পেইং বেডে ভর্তি আছেন। সেখানে বেড ভাড়া দিতে হয় প্রতিদিন ৩২৫টাকা। পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা গেছে শুধু হিপ জয়েন্ট নয়, এখন দুই পায়ের হাটু পর্যন্ত হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা প্রতিস্থাপন করতে হবে। ১২বছর বয়সের কন্যা মিথিলার কথা ভেবে বাঁচতে চান মুন্নি। এজন্য তিনি বিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা করেন।


যোগাযোগ: মো.মঞ্জু মিয়া (মুন্নির বাবা) ০১৪০১-৭৬৮১৭৪ অথবা ০১৭০৫-৮৫৯৪১২


বিবার্তা/কেআর

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com