ভোটার তালিকার হালনাগাদ খসড়া তালিকায় ভোটার বেড়েছে ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৩১ জন। সে হিসেবে এবার মোট ভোটার বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবিহিত করেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম।

ইসি সচিব জানান, ২০২২ সালের ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন।

সে হিসেবে এবার মোট ভোটার বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ।

নতুন ভোটার তালিকার হালনাগাদ খসড়া তালিকায় পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১২২ জন। যা গতবার ছিল ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন। আর মহিলা ভোটার ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন। যা গতবার ছিল ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ০২৭ জন।

পাশাপাশি ৮৩৭ জন তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গতবার ছিল ৪৫৪ জন।

২০২২ সাল হালনাগাদে কর্তনকৃত ভোটার সংখ্যা হল ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ছিল ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭২ জন আর ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৫৭ জন।

গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের সময় পেছানো হয়েছিল। প্রতিবছর ২ জানুয়ারি এই খসড়া প্রকাশ হলেও এবার তা হয়নি।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা বিধিমালা অনুযায়ী ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিধান আছে। ওই বিধান অনুযায়ী প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। খসড়া তালিকায় আসা আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় ২ মার্চ। এবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ পিছিয়ে গেলেও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময় অপরিবর্তিত থাকবে।

কমিশন জানায়, সারা দেশে এক কোটিরও বেশি নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিও এবার বিদ্যমান ভোটারের ৭.৫ শতাংশ হারে ৮৬ লাখ নতুন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন গত বছরের ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ, মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ ও ভোটার স্থানান্তরের কাজ করে। পরে ধাপে ধাপে বাকীগুলো শেষ করা হয়।

বিবার্তা/সানজিদা/বিএম