
উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী মূলত একটি টেলিভিশন টকশোতে ‘টু দ্য পয়েন্ট’ নামে একটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় থেকে আলোচনায় আসেন। ধৈর্য ও মার্জিত আচরণের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় দীপ্তি চৌধুরী। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আলোচনার বিপরীতে হয়েছেন সমালোচিত।
সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব অংশ নেন। এতে ছাত্রসংগঠনের নেতা হয়েও ‘ছাত্রত্ব কেন নেই’ এমন প্রশ্ন ইস্যুতে উপস্থাপকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রদল সভাপতি।
এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উপস্থাপক দীপ্তি চৌধুরী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবকে জিজ্ঞেস করছেন, আপনার ছাত্রত্ব আছে কিনা? জবাবে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, না, আমার ছাত্রত্ব নেই। এরপর উপস্থাপক আরও জানতে চান তাহলে আপনি কিভাবে ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বে? এরপরই সভাপতি রাকিব বলেন, এ প্রশ্ন বা কথাগুলো আপনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে জিজ্ঞেস করলে ভালো হতো। পরিপ্রেক্ষিতে দীপ্তি চৌধুরী বলেন, এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার সঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনার কোনো সম্পর্ক নেই। একপর্যায়ে উপস্থাপকের সঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এই টকশোতে আরো কয়েকজন ছাত্রপ্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন। ছাত্রদল সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, তাকে উদ্দেশ্যমূলক ব্যক্তিগত অ্যাটাক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, রেকর্ডিং অনুষ্ঠানের অফ-রেকর্ড কথাবার্তা প্রচার করা সাংবাদিকতার নীতিবিরুদ্ধ। ছাত্রদল সভাপতির সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা সাংবাদিকতার নৈতিকতার বাইরে। ক্লিকবেইট এবং হেনস্থার সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে এসে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত থাকুক।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীপ্তি চৌধুরীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকেই। দীপ্তি চৌধুরীর সাংবাদিকতার নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]