
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিটিভি ভারতে এসেছে, আশা করি অচিরেই বেসরকারি চ্যানেলগুলো আসবে। কলকাতায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যদিও ভারতের চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে দেখা যায়। তবে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো ভারতের দর্শকরা দেখতে পান না। দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কথা হচ্ছে।
দুদিনের কলকাতা সফর তথ্যমন্ত্রীর নানা কর্মসূচিতে আসা। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন। এই চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজক কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন।
তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারত এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক এবং ব্যবসায়ী মহলের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলাপচারিতায় মিলিত হন তথ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, আমি কলকাতাকে কখনো আলাদা মনে করি না। মনে করি আমি বাংলাদেশেই আছি। কারণ আমাদের ভাষা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি একই।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কলকাতার নিউটাউনে অবস্থিত ‘রবীন্দ্র তীর্থ’ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইন্দো-বাংলা সামিট-২০১৯’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্দো-বাংলা কাউন্সিল ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড কালচারাল কোলাবরেশন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ হাজার বছরের পুরনো। আমাদের এক জাতি, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি একই। বাংলাভাষা পৃথিবীর অন্যতম মাধুর্যময় ভাষা। সমগ্র পৃথিবীতে এক সময় এ অবিভক্ত ভারতের যৌথ বাংলাই ছিলো ধনী। এখন পৃথিবীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে। সেই বিপ্লব জোর দিয়েছে ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজির ওপর। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগ নেয়। সেই উদ্যোগ আজকে বাস্তবায়নের দিকে। ভারতে একই রকম উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে আমি মনে করি নিজেদেরকে উন্নত করতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। আর শিক্ষা কখনোই বেড়াজাল মানে না। বাস্তবে শিক্ষা আদান-প্রদানে দুই দেশ আরো উন্নত হতে পারে। এর সঙ্গে আরো বাড়াতে হবে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান। মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে এককভাবে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। এ অঞ্চল উন্নত হলে বাংলাদেশ-ভারত উন্নত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রধান তৌফিক হাসান। এছাড়া বাংলাদেশের লিডিং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী ও পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন। এছাড়া বাংলাদেশের ছয় জেলার শিক্ষা পর্ষদ এবং ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বনমালী ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/তাওহীদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]