শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের নিয়মিত উদ্যোগ পূর্ণিমা তিথির সাধুমেলার আয়োজন হয় ৩১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার। ২০১৯ সাল থেকে প্রতি পূর্ণিমায় এই মেলার আয়োজন করা হয়। দেশের নানা প্রান্তের বাউলশিল্পীরা এতে অংশ নেন।
থাকে বাউল গবেষকদের আলাপও। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল এই আয়োজনের ৫২তম আসর।
সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির বটতলায় লালন সাঁইয়ের প্রতিকৃতিতে সান্ধ্যবাতি জ্বালিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এবারের আসরের নাম ছিল ‘বাউল কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু’।
বাউল দর্শনের গান ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত বেশ কয়েকটি গান পরিবেশিত হয় এই আয়োজনে। এর মাধ্যমেই শেষ হয় শোকাবহ আগস্টকে ঘিরে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠানমালা।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালন গবেষক সৈয়দ জাহিদ হাসান। ফরিদপুরের সদরপুর সরকারি কলেজের এই সহকারী অধ্যাপক বাউলদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলা, বাউল ও বঙ্গবন্ধু—শব্দ তিনটি এক সূত্রে গাঁথা।
মাঠ পর্যায়ের গবেষণায় দেখেছি, যারা বাউলদের ভালোবাসে তারা বঙ্গবন্ধুকেও ভালোবাসে। বঙ্গবন্ধুও তাঁর সংগ্রামী জীবনে এই মাটি, মানুষ ও বাউলদের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন।
লালন সাঁইয়ের ভাববাণী ‘ভজ মুরশিদের কদম এই বেলা/চার পিয়ালা হৃদ-কমলা ক্রমে হবে উজ্জ্বলা’ গানটি সম্মেলক কণ্ঠে গেয়ে শোনান বাউলশিল্পীরা। মাগুরা থেকে আসা বাউল নিজাম উদ্দিন লালনি শাহ পরিবেশন করেন ‘আপনাকে আপনি চেনা/সেই বটে উপাসনা/লালন কয় আলেক চেনা/হলে হয় তার দিশে।’ একক কণ্ঠে আরো বাউলগীতি পরিবেশন করেন কুষ্টিয়ার জামাল উদ্দিন টুনটুন ফকির, চুয়াডাঙ্গার লতিফ শাহ, মাগুরার সমির বাউল, ঢাকার লাবিক কামাল গৌরব, অনিমা মুক্তি গোমেজ প্রমুখ। বাউল আলমিনা নিতু পরিবেশন করেন লালনের বাণী ‘ও তুই ডুবলে পরে রতন পাবি ভাসলে পরে পাবি না।’
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]