শিরোনাম
সারাটা দিন ছেয়ে আছো তুমি এতো রঙিন...
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০১৯, ১৪:০২
সারাটা দিন ছেয়ে আছো তুমি এতো রঙিন...
মডেল: আমির পারভেজ ও জাকিয়া ইমি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

তোমাকে ছাড়া এ আকাশ সাজে না, সহজে তো বাতাসে বাঁশি বাজে না, চলো না আজ এ রূপকথা, তোমাকে শোনাই... সারাটা দিন ছেয়ে আছো তুমি এতো রঙিন... সারাটা রাত হয়নি এখনো ঘুম... পৃথিবীর সবচেয়ে আপন এবং মধুর একটি সম্পর্কের বন্ধন। যেই বন্ধনের জন্য দুজন দুজনকে ছেড়ে যেতে পারে না। যা কিছুই হয়ে যাক না কেনো।


মানুষের জীবনে দাম্পত্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দাম্পত্য জীবন সুখের না হলে বা বোঝার জায়গাতে মিল না হলে জীবন হয়ে উঠতে পারে বিষাদময়। ছোট ছোট কিছু ভুলের কারণে প্রবাহমান জীবনের সঠিক রাস্তা হতে ছিটকে পড়তে পারি আমরা। অথচ একটু সচেতন হলে এড়ানো যায় এসব সমস্যা। জগত সংসারে নারী ও পুরুষ একে অপরের পরিপূরক।


মানব জীবন ভুল-ত্রুটি দিয়েই গড়া। কিন্তু সেই ভুলকে প্রাধান্য দিয়ে বাকী জীবনে অশান্তি ডেকে আনার কোনো যুক্তি নেই।


আবার অনেকে মনে করেন, কী আছে জীবনে? এক অর্থে জীবনটা বড়ই নিরস। বেঁচে থাকাটা একঘেঁয়ে, যান্ত্রিক। কষ্ট এড়িয়ে যাবার সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টার নাম জীবন। এমন একটা খেলা, যেখানে পরাজয়ের শঙ্কা প্রতি পদে পদে। তবুও বেঁচে থাকাটা সৌভাগ্য বৈকি !


সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি কী? এর উত্তর কী সত্যিই কারোর জানা আছে! অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন নিয়ে দু-জন মানুষের এক সঙ্গে জীবন শুরু করেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেখানে একঘেয়েমির পলি জমে। এমনকি সম্পর্কে বিচ্ছেদও দেখা যায় অনেক সময়।


তবে ভালোবাসেন অথচ ভালোবাসার কথা বলবেন না, তাই কি হয়? আর ভালোবাসার কথা যত বেশি বলবেন, আপনাদের দাম্পত্য জীবনে সুখ তত বেশি হবে।


স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মতো হবে। একজন আরেকজনকে সব কথা অকপটে বলতে পারবেন। হিসাব করে তো স্ত্রীকে কেউ কথা বলেন না। তবু কিছু কথা না বলাই ভালো। যা আপনার দাম্পত্যে ঝামেলা সৃষ্টি করবে।


ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার ভারসাম্য


কেউ কেউ অন্যকে ছোট করে, খোঁচা দিয়ে কথা বলে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ পান। নিজের স্ত্রীকে ছোট করলে নিজেকেও ছোট হতে হয়। এটা অনেকে বুঝতে পারেন। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার ভারসাম্য থাকা দাম্পত্যে জরুরি।


মনের সৌন্দর্য


তোমাকে কেমন যেন দেখাচ্ছে, সুন্দর করে সাজতে পারো না এ ধরনের কথা স্ত্রী কেন, ছেলেদের বললেও মনে কষ্ট পাবেন তারা। বিশেষ করে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করলে স্ত্রীকে অপমান করা হয়। এগুলো বলবেন না।


খাওয়া নিয়ে কোনো কথা নয়


না বুঝে বা বুঝেই স্ত্রীর খাবার খাওয়া নিয়ে স্বামী দু-চারটা কথা বলেন অনেক সময়। কোনো মানুষকে তার খাওয়ার বিষয়ে কিছু বলা উচিত নয়। কেউ বেশি খান, কেউ কম একেক জনের খাদ্যাভ্যাস একেক রকম। সেটা মাথায় রাখতে হবে।


সারা দিন কী করছ, কিছু তো করতে পারো না


অনেক স্বামীর মুখে এ ধরনের কথা শোনা যায়। গৃহিণী তো বটেই, নিস্তার মেলে না কর্মজীবী নারীরও। সহযোগিতা না করে ঘরে ফিরে কোনো কোনো স্বামী বলেন, অন্যের বউ সবই সামলায়। তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। তোমার মায়ের মতো হয়েছো। এগুলো বলা মানে হলো, আপনার মনমানসিকতা কতটা নিচু, তার প্রকাশ করে। আবার স্ত্রীরও উচিৎ নয় সারা দিন স্বামীর পেছনে জোঁকের মতো লেগে থাকা।


নিজের স্ত্রীকে ছোট করলে নিজেকেই ছোট হতে হয়। এটা অনেকে বুঝতে পারেন না। তবে এটাই সত্যি। দাম্পত্যে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার ভারসাম্য থাকা জরুরি। স্বামী-স্ত্রীর একজনকে অপরজনের পোশাক বলা হয়েছে ইসলামে। আল্লাহ তাআলা একজনকে অপরজনের সম্পূরক বানিয়েছেন। সৃষ্টিগত কৌশলতায় একজনকে করেছেন অপরজনের সহায়ক।


ঘড়ির কাঁটা যেমন থেমে নেই তেমনি প্রতিটি মুহূর্তেই জীবন থেকে একটি একটি করে সেকেন্ড হারিয়ে যাচ্ছে। যারা সেকেন্ড ধরে ধরে জীবনকে রাঙাতে পারে তারাই একসময় সাফল্যের শীর্ষে পা রাখে। প্রতিটি মুহূর্তকে রাঙিয়ে জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নামই জীবন সংগ্রাম।


জীবনে কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আবেগ, অনুভূতি, অনুযোগ কিংবা অভিযোগ-কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সামাজিক সম্পর্কগুলো সব সময়ই এক রকমের গাঢ় হবে না। নিজেকে কখনোই অন্যদের সঙ্গে তুলনা করতে যাবেন না। নিজেকে নিজের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করুন।


মুঠোফোন বা সামাজিক দুনিয়াই জীবনের সব কিছু না। আর বর্তমানে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া অনেকেরই জীবন অন্ধকার।


আর্থিক স্বাধীনতা আপনার জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেয়। যতটা আয় করবেন, তা বুঝে ব্যয় করুন। অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করুন। দামি মুঠোফোনে যতটা আনন্দ মেলে হয়তো মঞ্চনাটক দেখার অভিজ্ঞতা আরও আনন্দ দেবে। বস্তুগত আনন্দের চেয়ে অভিজ্ঞতা, স্মৃতি জমানোর দিকে মনোযোগ দিন।


যত বড়ই দুঃখ আসুক না কেনো, তা মলিন হবেই। যত দুঃখ কষ্টই হোক না কেনো নিজের পথ নিজেকেই চলতে হয়। অন্যরা আপনাকে দারুণ পছন্দ করে হয়তো, কিন্তু দিন শেষে আপনার পথ আপনাকেই অতিক্রম করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের এগিয়ে চলার গল্প, কষ্টের গল্প ভিন্ন হয়-তাই আপনাকে কেউ এগিয়ে নেবে তা ভেবে কখনোই বসে থাকবেন না। কারণ জীবনের সব কিছুর হিসেব এক জায়গাতেই কসা হবে।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com