গরমের কারণে শরীরে যাতে পানিশূন্যতা দেখা না দেয় এ কারণে ইফতারের পর থেকে ও সেহরির আগ পর্যাপ্ত বেশি পরিমাণে পানি পান করা দরকার। পানির পাশাপাশি ইফতারে বিভিন্ন ধরনের শরবতও খেতে পারেন।

স্বাদের পাশাপাশি এগুলো শরীরে প্রশান্তিও এনে দেবে। ইফতারে রকমারি সব শরবতের রেসিপি দেখে নিন আজ।

তেঁতুলের শরবত

উপকরণ: তেঁতুল, বিট লবণ, চিনি, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, শুকনা মরিচের গুড়া, ঠাণ্ডা পানি।

প্রণালি: প্রথমে তেঁতুল থেকে বিচি আলাদা করে একটি পাত্রে তেতুল গুলে নিন। গোলানো তেঁতুলের সঙ্গে পরিমাণমতো ঠান্ডা পানি মেশান। এবার তেঁতুলের সঙ্গে একে একে পরিমাণমতো চিনি, বিট লবণ, টেলে রাখা শুকনা মরিচের গুড়া, কাঁচা মরিচ কুচি ও ধনিয়া পাতা কুচি দিন এবং নেড়ে ১০ মিনিট রাখুন। তেঁতুলের মিশ্রণটি অন্য একটি পাত্রে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

আদা লেবুর শরবত

উপকরণ: আদার রস ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ঠাণ্ডা পানি ১ গ্লাস, বরফের টুকরা পরিমাণ মতো।

প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানাতে হবে। গরমের সময় এই শরবত খুবই ভালো লাগবে। তবে মনে রাখতে হবে খুব ঠান্ডা না হলে এই শরবত ভালো লাগে না।

তরমুজের শরবত

উপকরণ : তরমুজ টুকরা ২ কাপ, আদা কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতা ৪-৫টি, চিনি পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো, পানি ১ কাপ।

প্রস্তুত প্রণালি : সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ঢেলে ব্লেন্ড করে নিন। ছেঁকে শরবতটি ফ্রিজে রেখে দিন। পরিবেশনের সময় বরফ কুচি ও তাজা পুদিনা পাতা দিয়ে গার্নিস করে পরিবেশন করুন।

আনারসের শরবত

উপকরণ : আনারস কুচি ২ কাপ, পুদিনা কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, বিট লবণ আধা চা চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালি : সব উপকরণ ব্লেন্ড করে নিন। ছাকনি ব্যবহার করে শরবত ছেঁকে নিয়ে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। পরিবেশনের সময় গ্লাসে বরফ কুচি ও তাজা পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

শসার শরবত

উপকরণ : কাঁচা আমের টুকরা ১ কাপ, শসা টুকরা ১ কাপ, ধনে পাতা পেস্ট ১ চা চামচ, পুদিনা পাতা পেস্ট ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চিনি আধা কাপ, লবণ ১ চা চামচ, বিট লবণ ১ চা চামচ, টালা জিরা গুঁড়া ২ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি : সব উপকরণ ব্লেন্ড করুন। ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। পরিবেশনের সময় বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

বিবার্তা/শারমিন