বাজারে এখন কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। দামও নাগালে।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য ভালো৷ আম কাঁচা বা পাকা যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, শরীরের জন্য এর কোনো নেতিবাচক দিক নেই বললেই চলে। কাঁচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় প্রচণ্ড গরমে তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা আমের গুণ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাঁচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।
** কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা গরমে আপনার শরীর ঠান্ডা রাখতে পারে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটিতে চিনি কম থাকায় তা ওজন ও ক্যালরি কমাতে দারুণ কার্যকরী। বুক জ্বালাপোড়ায়, অম্লতা, বমিভাব, যকৃতের সমস্যা নিরাময় করতে ফলটি খেতে পারেন।
** গরমে প্রায় সবারই যে সমস্যা হতে দেখা যায় তা হলো, অতিরিক্ত ঘাম আর ঘামাচি। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে ত্বকে দেখা দেয় র্যাশ বা অ্যালার্জি।
এ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন মৌসুমি এই ফলটি। কারণ, গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। কাঁচা আম শরীরের এই ঘাটতি দূর করতে পারে নিমেষেই।
** আমের পুষ্টিগুণ রক্ত স্বল্পতা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, স্কার্ভিরোগ প্রতিরোধ করতে কাঁচা আম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
** কাঁচা আমে রয়েছে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন উপাদান। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দুটি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
** মৌসুমি এই ফলটি ত্বক ও চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সকালে বা দুপুরের ঝিমুনিভাব এড়াতে কয়েক টুকরো কাঁচা আম খেতে পারেন। এর টক স্বাদের জন্য যারা কাঁচা আম খেতে পারেন না, তারা কাঁচা আমের জুস করে খেলেও এর উপকার পেতে পারেন।
** গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও লৌহ বের হয়ে যায়। কাঁচা আমের জুস শরীরের এই ঘাটতি দূর করে।
** কাঁচা আম খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঁচা আম।
** কাঁচা আম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি জোগাতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায় কাঁচা আম। আমচুর স্কার্ভি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী। নিশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে কাঁচা আম।
** প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে ৷
** গ্যালিক অ্যাসিড থাকার কারণে তা হজম-প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে৷
সতর্কতা
কথায় আছে, অতিরিক্ত কোনো কিছু ভালো নয়। কাঁচা আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ কাঁচা আমের কষ মুখে লাগলে ও পেটে গেলে মুখ, গলা ও পেটে সংক্রমণ হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সাবধান।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]