
শরীর ভালো রাখতে এবং সুস্থ থাকতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খাবার। খাবার ঠিকঠাক না পেলে শরীর পুষ্ট হবে না। ফলে সেখান থেকে হতে পারে আরও নানা বিপত্তি। দৈনন্দিন জীবনে আমরা সবাই ব্যস্ত। সারাদিন ছুটে চলেছি। ফলে ঠিক সময়ে খাওয়ার কথা আমাদের মনে থাকে না। খিদে পেলে যা খুশি তাই খেয়ে নিই। সেখান থেকেই গ্যাস-অম্বল, হজম না হওয়ার মতো নানাবিধ সমস্যা দেখা যায়।
কোন খাবারগুলি খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে?
মধু
রোগা হতে চাইলে লেবু এবং মধুর জলের উপকারিতা অনেক। যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা বিশেষ করে এই পানীয় খালি পেটে খেতে পারেন। রোজ নিয়ম করে এই পানীয় খেলে শরীরের বিপাকহার বাড়বে এবং দ্রুত ওজন কমবে।
কাঠবাদাম
অনেক বাদাম, ড্রাই ফ্রুটস শুকনো খাওয়ার চেয়ে জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে তার পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল কাঠবাদাম। টুকটাক খিদে মেটাতে কাঠাবাদামের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু রোজ সকালে আপনি যদি ভেজানো কাঠবাদাম খালি পেটে খান, তা হলে হৃদ্রোগ, ডায়াবিটিসের মতো অনেক সমস্যা দূরে থাকবে। সকালে যদি শরীরচর্চা করার অভ্যাস থাকে, তা হলে তার আগে কাঠবাদাম খেলে অনেক বেশি শক্তি পাবেন।
আমলকি
আমলকিতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। খালি পেটে আমলকির রস খেলে চুল, ত্বক সবই ভাল থাকবে। তার পাশাপাশি, হৃদ্যন্ত্র সুস্থ থাকবে এবং লিভারও ঠিক মতো কাজ করবে। এমনিতে আমলকি খুব টক হওয়ায় অনেকে সিদ্ধ করে ভাতে মেখে খান। কিন্তু তাতে সব পুষ্টিগুণ চলে যায়। তার চেয়ে কাঁচা খাওয়াই ভাল। খালি পেটে খেতে পারলে আরও উপকারী।
পেঁপে
কাঁচা পেঁপে রস করে খাওয়ার যেমন গুণ রয়েছে, তেমনই পাকা পেঁপে খাওয়ারও অনেক সুফল রয়েছে। খালি পেটে যদি পেঁপে খেতে পারেন, তা হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই কম। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা নির্ভয়ে পেঁপে খেতে পারেন। এতে খাবার হজম হবে তাড়াতাড়ি।
জিরে ভিজানো জল
পিসিওডি বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে অতি অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস জলে কিছু জিরে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই জল ছেঁকে খালি পেটে খান। এতে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং বিপাক হারও বাড়বে।
খেজুর
শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে খেজুর। দিনের শুরুতে খেজুর খেতে পারেন। খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর। খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। অল্প কয়েকটা খেজুর খেলে ক্ষুধার তীব্রতা কমে যায়। এই ফল পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে, শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়। ফলে মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]