পেটের মেদ কমানোর সহজ কৌশল কে না জানতে চায়। সবাই পেটের মেদ কমাতে চায়। এটি দেখতে খারাপ দেখাচ্ছে এবং ভাল লাগছে না। শুধু তাই নয়, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও বিপজ্জনক। ভিসারাল ফ্যাট (আপনার পেটের চারপাশের ফ্যাট হিসাবে পরিচিত) ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং এমনকি ক্যান্সার সহ অনেকগুলি স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ডায়েট এবং ব্যায়াম হলোপেটের মেদ থেকে মুক্তি পাওয়ার সর্বোত্তম উপায় তবে এগুলি আরও কার্যকর করার জন্য এমন ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এবং সহজেই পেটের চর্বি হ্রাস করার জন্য কয়েকটি প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে।
এখানে ব্যায়াম ছাড়াই পেটের মেদ কমানোর সহজ কৌশল হিসাবে কয়েকটি কার্যকর ঘরোয়া উপায় দেওয়া হয়েছে যা পেটের ভুড়ি কমানোর জন্য খুব কার্যকর-
- অতিরিক্ত লবণ ও কাঁচা লবণ খাবেন না।
- সাপ্লিমেন্টে না বলুন। সাপ্লিমেন্ট খেয়ে মেদ ঝরাতে চাইলে দীর্ঘদিন ধরে খেতে হয়, যার প্রভাব পড়ে শরীরে।
- প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না। এ ধরনের খাবারে অতিরিক্ত চিনি ও লুকানো ট্রান্স ফ্যাট মেদ জমায় অতি দ্রুত। এসবের বদলে তাজা ও প্রাকৃতিক খাবার রাখুন পাতে।
- পর্যাপ্ত ঘুমে যেন কোনও বাধা না পড়ে। দৈনিক ৮ ঘণ্টার ঘুম আপনার সুস্থতার জন্য ভীষণ জরুরি।
- অনেকে মনে করেন আলু খেলেই বুঝি মেদ বাড়ে। এটি পুরোপুরি সত্যি নয়। সেদ্ধ বা বেক করা আলু বা অল্প আলুর তরকারিতে মেদ বাড়ে না। তবে এড়িয়ে চলুন হাইড্রোজেনেটেড তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস ও আলুর টিকিয়া বা তেল দিয়ে বানানো ফাস্ট ফুড।
- মেডিটেশন ও কোনও সৃজনশীল কাজে নিজেকে কিছুটা ব্যস্ত রাখুন। এতে মানসিক চাপ কমবে। সারা দিনের স্ট্রেস থেকেও শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় ও মেদ জমে।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি।
- দুগ্ধজাত খাবার কী পরিমাণে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা যাবে, তা জেনে নিন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে।
- প্রতিদিন হাঁটার পাশাপাশি ঘরোয়া ব্যায়াম করুন। ওয়েট লিফটিং করতে পারেন ঘরেই। এতে পেশী মজবুত হবে ও শরীরে মেদ জমার সুযোগ পাবে না।
- সব রকম খাবারই রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। তাতে যেমন প্রোটিন থাকবে, তেমনই ফ্যাট ও শর্করাও রাখতে হবে পরিমাণ মতো। সেক্ষেত্রে ফ্যাট নিন মাছ, মাংস থেকে। সামুদ্রিক মাছ ও বাদাম খেতে পারেন।
- রাতে বেশি পরিমাণে খাবেন না। খাওয়ার অন্তত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর ঘুমাবেন।
বিবার্তা/এসএ