শীত বিদায় নিচ্ছে। ঋতু পরিবর্তনের এসময়ে অনেকে জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ফাল্গুনের শুরুতে নিতে হবে ত্বকের বাড়তি যত্ন। কারণ এইসময় দিনেরবেলা গরম থাকে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কিছুটা শীত শীতভাব অনুভূত হয়।
ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। এই সমস্যাগুলোর হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
জ্বর-কাশি দূরে রাখার ঘরোয়া উপায়:
- ঠাণ্ডায় সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন ভিটামিন 'সি' জাতীয় খাবার। কমলা, আঙুর, মালটা, লেবু এগুলো খেতে হবে নিয়মিত।
- সর্দি-কাশি প্রতিরোধে আদা খুব ভালো কাজ করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে আদা ফোটানো পানি খেলে পাবেন। অর্ধেক লিটার পানিতে ২ টেবিলচামচ আদা থেঁতে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে ১ কাপ হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। উষ্ণ গরম অবস্থায় আদাপানি খেতে হবে।
- ঠাণ্ডার সমস্যায় মধু খেতে পারেন। উষ্ণ গরম পানিতে মধু মিশিয়ে সকালবেলা পান করুন।
- জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথার চিকিৎসায় তুলসী পাতা খেতে পারেন। ঠাণ্ডার প্রতিরোধে তুলসী খুব ভালো কাজ করে। সর্দি-কাশি হলে শিশুকেও তুলসী পাতার রস খাওয়ানো যায়। তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- খেতে পারেন টকদই। টকদই সর্দি-কাশি কমায়। দইয়ে রয়েছে প্রয়োজনীয় কিছু ব্যাকটেরিয়া, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
যা মেনে চলবেন:
- হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। অপরিষ্কার হাত দিয়ে খাবার খেলে দেহে জীবাণুর সংক্রমণ হয়। ফলে বিভিন্ন রোগ হয়। সাবান দিয়ে অন্তত ২০ মিনিট ধরে হাত ধুতে হবে।
- গোসলের পর চুল শুকানোর পর বাইরে যেতে হবে। ভেজা চুল বেঁধে রাখা যাবে না।
- ভিটামিন ডি ও জিংকসমৃদ্ধ খাবার সর্দি-কাশি, জ্বর, গলাব্যথা ও জ্বর জ্বর ভাব প্রতিরোধ করে।
বিবার্তা/এসএ