শীতকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঠোঁট। ঠোঁট শক্ত হয়ে গিয়ে ফাটল ধরে। ফাটলের পরিমাণ বেশি হলে কখনও কখনও রক্ত ঝরে। এই সমস্যায় কষ্ট পান অনেকেই। ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করা যায় না আবার ভালো করে মুখও খোলা যায় না।
ঠোঁট ফাটা সারানোর কিছু ঘারোয়া উপায় আছে। চলুন জেনে নেই...
১. নরম ও পেলব ঠোঁট খুব সহজেই পাবেন লেবুর রস লাগিয়ে। এক চা চামচ দুধের সর ও তিন ফোঁটা লেবুর রস ভালো
করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ফ্রিজে রেখে দিন। রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণটা লাগিয়ে নিন। সুফল পাওয়ার জন্য অন্তত তিন দিন অপেক্ষা করুন ।
২. অনেকেই জানেন না গ্রিন টি ব্যাগ খুব ভালো ময়শ্চারাইজারের কাজ করে এবং খুব সহজেই এটা ব্যবহার করা যায় একটা ব্যবহৃত টি ব্যাগ নিন এবং ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরুন। এইভাবে চার মিনিট রেখে দিন। দিনে একবার করে করলেই হবে।
৩.ঠোটের যত্নে ৫০ গ্রাম মধু, ২০ গ্রাম বা ৪ চা-চামচ চিনি, ৫ মিলি গোলাপ জল, ৫ মিলি ভ্যানিলা এসেন্স একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর এয়ারটাইট শিশিতে রেখে দিন। এই মিশ্রণ প্রতিদিন একবার ঠোঁটের মরা কোষ তুলতে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন। মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে প্রাকৃতিক ভাবেই। চিনি মরাকোষ সরিয়ে ঠোঁটকে করে নরম, মোলায়েম। আর এই দুই উপকরণ একসঙ্গে হলে এর কার্যকারি অনেক বেড়ে যায়।
৪. মিল্ক ক্রিম বা দুধের সর লাগালেও খুব সহজে ঠোঁট ফাটা সেরে যায়। তাজা দুধের সর নিয়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন ঠোঁটে। এরপর হাল্কা গরম পানিতে তুলা ভিজিয়ে নিন এবং আলতো করে ঠোঁট মুছে নিন।
৫. প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার ছাড়াও ব্যথা দূর করে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা জেল বা সরাসরি অ্যালোভেরা পাতা সরাসরি ঠোঁটের ওপর লাগাতে পারেন। পাতা থেকে রস চিপে তা ঠোঁটের ওপর লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।
৬. ঠোঁট ফাটা খুব সহজেই নারিকেল তেল লাগালে সেরে যায়। কয়েক ফোঁটা তেল ঠোঁটের ওপর লাগিয়ে নিন। নারিকেল
তেলের বদলে অলিভ অয়েলও লাগাতে পারেন ।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]