আমাদের দেশের আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে তরুণীরা তাদের পোশাক নির্বাচন করে থাকেন। বর্ষায় যেমন কিছু সময়ের জন্য ঠাণ্ডা অনুভব হয়। তেমনি রোদ উঠলে বাতাসের আর্দ্রতা শরীরে যেন গরম পানির ঝাপটা দেয়ার অনুভূতি এনে দেয়। আর এমন আবহাওয়ার জন্য কাকভেজা হয়েও যেন অস্বস্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য ঢিলাঢালা পোশাককে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন মেয়েরা।
ফ্যাশন সচেতন মেয়েরা এ সময় প্রিন্টের কাপড়কে রেখেছেন পছন্দের তালিকায়। কারণ হঠাৎ বৃষ্টিতে যদি কিছুটা ভিজেও যায় প্রিন্টের কাপড়ে তা কম বোঝা যাবে। যাদের সিনথেটিক কাপড়ে সমস্যা হয় না তারা হালকা সিল্ক, সিফন, জরজেট ইত্যাদি কাপড় পরছেন। এতে কাপড় ভিজে গেলেও তা বোঝা যাবে না। আবার তাড়াতাড়ি শুকিয়েও যাবে। যে ধরনের কাপড়ই হোক না কেনো, এ সময় একটু ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিচ্ছেন ফ্যাশন সচেতনরা। এতে বৃষ্টিতে ভিজলেও কাপড় গায়ের সঙ্গে লেগে দৃষ্টিকটু লাগবে না।
হাল ফ্যাশনে স্বস্তি ও ফ্যাশনের কথা ভেবেই তরুণীরা স্কার্ট ও টপস পরতে পছন্দ করছেন। আমাদের দেশে এটি পরার প্রচলন শুরু হয় মূলত পাশ্চাত্য দেশের অনুকরণে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের আড্ডায় স্কার্ট পরতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। স্কার্ট যেমন ঘরে ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে পরা যায়, তেমনি বাইরের কাজে কিংবা পার্টিতে পরা যায়। এটি মূলত টিনএজদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হলেও সব বয়সের নারীই এ পোশাকে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন।
স্কার্টকে এখন একটু মডার্ন শেপ দেয়া হয়েছে। এখন বাসা, অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সব জায়গায়ই মেয়েরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বলে বিভিন্ন ডিজাইনের স্কার্ট তৈরি করা হচ্ছে। এটির সঙ্গে মূলত টপস কিংবা শার্টই তরুণীরা পছন্দে রেখেছেন। তবে গরমকালের কথা মাথায় রেখে ঢিলেঢালার পাশাপাশি স্কার্ট বিভিন্ন হালকা রঙের পরছেন অনেকে। তাতে একদিকে যেমন আরাম পাওয়া যায় অন্যদিকে হালকা রং রোদের হাত থেকে রক্ষা করে রাখছে দিনভর স্নিগ্ধ। তবে পার্টি ড্রেসের ক্ষেত্রে বর্ণিল রঙে হালকা কাজ তারুণীদের পোশাক চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। আমাদের দেশীয় অনুষ্ঠানে তাই বৈচিত্র্য তাদের পোশাকেই বেশি করা হয়। তরুণীদের ফিউশনধর্মী কাপড় বেশি পছন্দ।
বিবার্তা/এরশাদ/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]