মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আনা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চে মঙ্গলবার এ শুনানি শুরু হয়।

এর আগে ১০ এপ্রিল আপিল বিভাগ শুনানির দিন আজ মঙ্গলবার ধার্য করেছিল আপিল বিভাগ। এর ধারাবাহিকতায় সকালে শুনানি শুরু হয়।

শুনানিতে আজহারের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদিন পেপারবুক থেকে উপস্থাপন শুরু করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, আসামিপক্ষ আজ সময়ের আবেদন করেছিল। আদালত তা মঞ্জুর করেননি। এরপর আসামিপক্ষ শুনানিতে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন শুরু করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আইন অনুযায়ী সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত এ আসামি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত ৩৭ মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। একটি মামলা রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতে সাতটি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রায়ের পর জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

আপিল ও আপিল রায়ের রিভিউতেও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।

আরো বেশ কয়েকটি মামলা আপিলে নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব আপিল মামলা শুনানি ও নিস্পত্তি হবে।

বিবার্তা/জাকিয়া