
চট্টগ্রামের রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিমকে নতুন করে ৩টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাউজান থানা পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সদর কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ফজলে করিমকে আজ (মঙ্গলবার) চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছিল। একটির শুনানি সম্ভব হয়নি। বাকি ৩টির শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত ওই তিনটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন।
রাউজানের প্রতাপশালী এমপি ছিলেন ফজলে করিম। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা সংসদ সদস্য তিনি। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে। এ সময়ে রাউজানে তার কথাই শেষ কথা ছিল। কেউ তার ওপর কথা বলার সুযোগ ছিল না। ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) প্রত্যেক সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের তার অনুগত থাকতে হতো। ফজলে করিমের কথার বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না কারও। সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাউজানের কোথাও কোনো মেম্বার পদপ্রার্থীকে পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেননি ফজলে করিম। যাকে ফজলে করিম মনোনয়ন দিয়েছেন তিনিই একক প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক ছিলেন তিনি। এরপর গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে বিজিবি জানায়। পরে তিনজনের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে ছিলেন ফজলে করিম। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম আনা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চট্টগ্রামে ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]