
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ বন্ধ করা, জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ, নীতি সংস্কার এবং অভিযোগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দ্বারা পর্যালোচনা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
৬ জুন, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী এ রিট আবেদন দায়ের করেন।
রিট আবেদনের বিষয়ে আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল এ প্রতিবেদককে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করা হয়েছে। আগামী সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে তিনি জানান।
আবেদনে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ও ডিপিডিসির কর্তৃপক্ষকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে গোপন বা লুকানো চার্জ এবং অতিরিক্ত ফি আরোপের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটার বিলিং প্র্যাকটিসের ব্যাপক পর্যালোচনা করা ও স্বাধীন নিরীক্ষা পরিচালনার জন্য এবং সব ভোক্তাদের স্বচ্ছ ও ন্যায্য বিলিং নিশ্চিতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অন্যায়ভাবে আরোপিত ও আদায়কৃত মিটার ফি বা চার্জের অর্থ ফেরতের নির্দেশ দিতে আর্জি জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও রুল শুনানির অপেক্ষায় থাকাকালীন, পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়ারও আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২১ মে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ বন্ধ, জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং অনুশীলন পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা এবং অতিরিক্ত চার্জ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। রেজিস্ট্রি ডাক এবং ই-মেইলযোগে উপরিউক্ত বিবাদীদের বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও, ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারনে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সমস্যাগুলো ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায়, জরুরি ভিত্তিতে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কারের দাবিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়েছে, আগামী ২৬ মের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]