ধানমণ্ডিতে দুই নারীকে হত্যা মামলায় কাজের মেয়ে সুরভী আক্তার নাহিদা (২২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাঁচদিনের রিমান্ড চলাকালে দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সুরভী স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়।

এ জন্য তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. রবিউল আলম।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারী আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে সুরভীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ৫ নভেম্বর সুরভীসহ পাঁচ আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। রিমান্ডে থাকা বাকি আসামিরা হল- বাসার ম্যানেজার মো. গাউসুল আযম প্রিন্স (৪২), সিকিউরিটি গার্ড মো. নুরুজ্জামান (৪২) ও রুবার স্বামীর বডিগার্ড বাচ্চু (৩৪) ও ইলেক্ট্রিশিয়ান মো. বেলায়েত হোসেন (৩২)।

গত ১ নভেম্বর বাসার পুরনো কাজের লোক মো. আতিকুল হক বাচ্চু একজন নতুন কাজের মেয়েকে (সুরভী আক্তার নাহিদা) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রুবার বাসায় নিয়ে আসে। নতুন কাজের মেয়েটিকে বাচ্চুর সঙ্গে রুবা তার মায়ের ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেন। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার দিকে রুবার মা আফরোজা বেগম পুরনো কাজের মেয়ে দিতিকে নিয়ে রুবার পঞ্চম তলার ফ্ল্যাট থেকে চতুর্থ তলায় তার ফ্ল্যাটে চলে যান।

ওইদিনই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রুবা তার মাকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ জন্য রুবার বাসার কাজের ছেলে মো. রিয়াজকে তার মায়ের ফ্ল্যাটে পাঠান। রিয়াজ রুবার মায়ের ফ্ল্যাটে গিয়ে কলিং বেল ও ডাকাডাকি করলে কেউ জবাব দেননি। রিয়াজ দরজায় ধাক্কা দিয়ে দেখে দরজা খোলা এবং রুবার মা আফরোজা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। রিয়াজ তাৎক্ষণিত এ ঘটনা রুবাবে জানায়।

বাসার সিকিউরিটি গার্ড নুরুজ্জামান জানান, নতুন কাজের মেয়েটি সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে গেট দিয়ে বাইরে চলে গেছে। রুবার ধারণা, বাচ্চু ও নতুন কাজের মেয়ে অজ্ঞাত সহযোগীদের সহায়তায় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের মধ্যে তার মা ও কাজের মেয়ে দিতিকে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে এবং গলা কেটে হত্যা করে।

এরপর ৩ নভেম্বর দিলরুবা সুলতানা রুবা (৪২) বাদী হয়ে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

বিবার্তা/আবদাল