স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বুলবুল মহলানবীশ। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গত বছরের ১৪ জুলাই, শুক্রবার ভোরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বুলবুল মহলানবীশ বহুমুখী গুণের অধিকারী ছিলেন। একাধারে কবি, লেখক, সংগীত, নাট্য ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন। তিনি টেলিভিশন-বেতার-মঞ্চে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করতেন।
১৯৫৩ সালের ১০ মার্চ বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন কৃতী শিল্পী ও সংগঠক বুলবুল মহলানবীশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স করেছেন। দেশে-বিদেশে শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কলকাতার বালিগঞ্জের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয় ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটি। বাঙালির বিজয়ের ঐতিহাসিক ক্ষণে কালজয়ী গানটিতে কণ্ঠ দেওয়া শিল্পীদের অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশ। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের উজ্জ্বল প্রতিনিধি ছিলেন তিনি, সর্বোপরি দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
নজরুল সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ নজরুল সংগীতশিল্পী পরিষদের সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র একাডেমি। জাতীয় কবিতা পরিষদ, কচিকাঁচার মেলা, উদীচী, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শিল্পী পরিষদসহ বহু সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তবে সব ছাপিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী-কণ্ঠযোদ্ধা পরিচয়টি তিনি বহন করতেন বিনম্র গৌরবে।
তার দুটি গানের অ্যালবাম রয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে ১২টির বেশি গ্রন্থ। মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব প্রস্তুতি ও স্মৃতি ৭১ তার বহুল আলোচিত বই। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য পেয়েছেন চয়ন স্বর্ণপদক, দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ফাউন্ডেশন সম্মাননা, পশ্চিমবঙ্গের নজরুল একাডেমি সম্মাননা পদক।
পরলোক গমনের পূর্বে বুলবুল মহলানবীশের সাথে বিবার্তার আলাপচারিতা হয়। সেই অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার থেকে পাঠকদের জন্য চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন বিবার্তা প্রতিবেদক।
বিবার্তা: দীর্ঘদিন যাবৎ আপনি আমাদের সঙ্গীত অঙ্গনে এই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিচরণ করছেন, এই সম্পর্কে কিছু বলুন।
বুলবুল মহলানবীশ: আসলে আমার কাছে মনে হয় সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে থাকলে, সৎভাবে থাকলে সবাই ভালো থাকে। আমি ছোট্টবেলা থেকেই এই সংস্কৃতি অঙ্গনের সাথে যুক্ত আছি। পারিবারিকভাবে আমার বাবা, আমার কাকা, আমার মাও সংস্কৃতি অঙ্গনকে খুব ভালোবাসতেন এবং শ্রদ্ধা করতেন। বাবা নাটক লিখতেন, নাটক করতেন, আবৃত্তি প্রশিক্ষক ছিলেন। আমি নারিন্দা পাড়ায় বড় হয়েছি। সেখানে সওগাত সম্পাদক নাসিরুদ্দিন তার বাসায়, দাদা ভাই ছিলেন এবং পুরো পাড়টায় ছিল সাংস্কৃতিক দিক থেকে খুব ঋদ্ধ। সেই থেকেই সংগীতাঙ্গনে আমার বিচরণ।
বিবার্তা: আপনি নারিন্দাতে সাংস্কৃতিক দল গড়েছিলেন, সে সম্পর্কে কিছু বলুন।
বুলবুল মহলানবীশ: নারিন্দা এলাকায় গণজাগরণের একটা বিষয় ছিল। '৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের পরবর্তী সময় রবীন্দ্রনাথকে ব্যান্ড (নিষিদ্ধ) করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সরকারিভাবে এনাউন্স করে করা হয়নি তখন, পরবর্তীতে সেটা '৬৭ সালে সরকার এনাউন্স করে ব্যান্ড করে দিয়েছিল। কিন্তু তার প্রভাব পড়েছিল সমস্ত বাঙালির ভিতরে। বাঙালির মনের ভিতরে এক ধরনের প্রতিবাদ তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকেই আমরা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত এদের যে আইডিয়া বা মানবিকতার ভাবনা সেখান থেকেই আমরা বড় হয়েছি। সেই চিন্তা থেকেই আমি এই দল গড়েছিলাম। একটা বিষয় আমার কাছে এখন আশ্চর্য লাগে সেই দলটি ছিল মেয়েদের দল।
বিবার্তা: রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলকে যখন ব্যান্ড করা হয় তখন গীতিনাট্যের উপর বড় ধরনের একটি প্রোগ্রাম হয়েছিল সেখানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে ছিলেন মেয়েরা, সবসময় নারীদের বড় ভূমিকা ছিল।
বুলবুল মহলানবীশ: নারীদের ভূমিকা অনেকটা সময় ধরেই ছিল, ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই কিন্তু নারীদের ভূমিকা ছিল। লীলা নাগ, ১৯২১ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হল তখন কিন্তু তিনি সিলেট থেকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য গভর্নর পর্যন্ত গিয়েছিলেন। সেটাও নারী জাগরণের ই একটা বিষয়। নারী জাগরণ ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই ছিল।
বিবার্তা: ৬৯/৭০ এর সময়ে বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ যখন গঠিত হয়, তখনকার কোনো ঘটনা আপনার মনে পড়ে কি?
বুলবুল মহলানবীশ: বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজটা গঠন করা হয়েছিল ৭১ সালে। ৬৯ এর যে ছাত্র আন্দোলন তার আগে ৬৮ সালে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ৬৬ সালে ছয় দফা দিলেন, ছয় দফার সঙ্গে আরো ৫ দফা জুড়ে ১১ দফা দাবিতে ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল। সেই ছাত্র আন্দোলনে আমিও যুক্ত ছিলাম। এই আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল। পরবর্তীকালে সেটা গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। ২০ জানুয়ারি যখন আসাদকে হত্যা করা হল তখন আমরা মিছিলে, কাছাকাছিই ছিলাম। আমরা ছিলাম ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য। ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন এবং বামপন্থী গ্রুপ এবং প্রগতিশীল যত ছাত্র সংগঠন ছিল তারা এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।
৭ মার্চের ভাষণ যখন বঙ্গবন্ধু দিলেন তখন পুরো দেশ মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিল। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেই ছিলেন 'যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে'। তখন বঙ্গবন্ধু সৈয়দ হাসান ইমাম ভাইকে ডেকে এবং আরো কয়েকজন গোলাম মস্তফা, ওয়াহিদ ভাই তাদেরকে ডেকে বললেন যে, তোমরা একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলন তৈরি করো। তখন বঙ্গবন্ধুর সামনেই 'বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজ’ নামে সংগঠন তৈরি হয়ে গেল। ওয়াহিদ ভাই ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক, আতিকুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথ শিল্পী আর সৈয়দ হাসান ইমাম আহ্বায়ক ছিলেন। এটার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল ৯ মার্চ থেকে। শহিদ মিনারসহ ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে এবং পরবর্তীতে জেলা শহরগুলোতেও সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল।
এখানে একটা বিষয় বলি 'আমার সোনার বাংলা' কিন্তু বঙ্গবন্ধুর খুব পছন্দের গান। তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন আমাদের দেশ স্বাধীন হবে, দেশ স্বাধীন করতেই হবে এবং দেশের জাতীয় সংগীত হবে এই 'আমার সোনার বাংলা'।
বিবার্তা: আপনার কণ্ঠযোদ্ধা হওয়ার গল্প শুনতে চাই।
বুলবুল মহলানবীশ: কলকাতাতে যখন কাচরাপাড়ায় থাকতাম তখন আমার মামা হঠাৎ করে একটা পত্রিকা নিয়ে আসলেন। দেখালেন যে, ১৪৪ নম্বর লেনিন সরনীতে বাংলাদেশের ওয়াহিদুল হক ও সানজিদা খাতুন মিলে একটা স্কোয়াড তৈরি করেছেন সেখানে পশ্চিমবঙ্গের যত কবি সাহিত্যিক আছেন তারা যুক্ত আছেন। অন্নদাশঙ্কর রায় থেকে শুরু করে দিপেন বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়ও ছিলেন সেখানে। আমাদের দেশের বড় বড় কবি সাহিত্যিকরাও সেটার সাথে যুক্ত হয়েছেন। তারা পেপার অ্যাড দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ থেকে যেসব শিল্পী গেছে তারা যেন যুক্ত হয়। তখন আমি যুক্ত হয়ে গিয়ে দেখলাম ওয়াহিদ ভাই আছেন। সানজিদা আপা তখন ছিলেন না। ওয়াহিদ ভাই আমাকে ওয়েলকাম করলেন। তিনি আমাকে আগে চিনতেন না তবে সানজিদা আপা চিনতেন। তখন ওয়াহিদ ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমিই বুলবুল মহলানবীশ? খোকাদা (সুকেন্দ চক্রবর্তী) আমাকে বলে দিয়েছেন তোমাকে যেন খুঁজে বের করি, তুমি কলকাতায় আছো। তো আমি তো খুঁজে পাচ্ছিলাম না, বুলবুল পাখি নিজেই এসে ধরা দিল (হাসি)।
বেনু ভাই আর শাহীন আপার সঙ্গে আমার আগেই পরিচিতি ছিল। শাহীন আপার একটা অভ্যাস ছিল, যাদেরকে আপন মনে করত তাদেরকে পিঠে জোড়ে একটা থাপ্পড় দিত। তো আমাকেও এভাবে ওয়েলকাম করা হল। তো এভাবেই আমি যুক্ত হয়ে গেলাম 'মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থার সাথে'।
মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা বহু জায়গায় অনুষ্ঠান করেছে। ভারতের সংগীত শিল্পীরা যে তখন আমাদের সাথে কতটা আপন হয়ে কাজ করেছেন তা আমরা ভুলতে পারি না। ত্রিপুরায় সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অনির্দিষ্টকালের জন্য এবং সেখানে ১৫ লক্ষ লোক ছিল আর আমরা হয়ে গিয়েছিলাম ১৬ লক্ষ।
একদিন ওয়াহিদ ভাইকে আমি খুব সাহস করে জিজ্ঞেস করলাম যে, ওয়াহিদ ভাই, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রটা কোথায় অবস্থিত আপনি জানেন কি? উনি বললেন, কাউকে বলবি না, এটা গোপন কথা। আমি জানি এবং তোদের অনেককেই আমি বলেছি, ঠিকানা দিয়েছি তারা যোগাযোগ করেছে, গান গাইছে। তোকেও ঠিকানা দেব। সেই ঠিকানাটা আমি পেলাম ওয়াহিদ ভাইয়ের কাছ থেকে।
তারপরে আমি যখন ট্রেনে করে কাচরাপাড়ায় ফিরে যাচ্ছি তখন হঠাৎ করে অভিনেতা রাজু আহমেদের সাথে দেখা হল। তিনি আমাদের পূর্বপরিচিত ছিলেন। আমরা যখন করাচিতে ছিলাম তখন উনিও করাচিতে ছিলেন। একটা সময় উনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি বুলবুল না? আমি বললাম, হ্যাঁ আমি বুলবুল, আপনি রাজু কাকু, আমি চিনেছি আপনাকে। উনি বললেন বহু বছর পরে তোমার সাথে দেখা। তোমাকে তো আমি ছোট দেখেছিলাম এখন অনেক বড় হয়ে গেছো, তো তুমি চলে আসো আমাদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। সেইদিনই ওয়াহিদ ভাইয়ের কাছ থেকেও ঠিকানাটা পেলাম আবার উনার কাছ থেকেও ঠিকানাটা পেলাম। আমি যে ঠিকানা পেয়েছিলাম সেখানে শুধু রেকর্ডিং হত। প্রচার হত অন্য জায়গা থেকে, সেই ঠিকানা জানতাম না। এভাবেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে পথচলা শুরু হল।
বিবার্তা: বর্তমানে মানুষ শিল্পী হওয়ার আগেই ভোগবিলাসের আকাঙ্ক্ষা করে, এটা কেন হয়? আমাদের এই অবস্থা কেন?
বুলবুল মহলানবীশ: এখনকার যুগটা অনেক পালটে গেছে। আমরা যখন বড় হয়েছি তখন আমাদের বড়দের কাছ থেকে আমরা এসব শিখিনি। আমরা শিখেছি সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। ফলের আশা করে কোনো কাজ করা যাবে না। এই যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করলাম। অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছেন, কিন্তু অনেকেই আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধ করেও, বিজয় অর্জন করেও তারা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে না। মুক্তিযুদ্ধ করেছি, বিজয় অর্জন করেছি সেটা আমাদের কাজ ছিল, দেশের জন্য করেছি। মৈত্রি দেবী, গৌরি আইয়ুব ওরা যে কি কাজ করেছেন তা বলে বুঝানো যাবেনা। সল্ট লেকে যে শরণার্থী শিবির ছিল সেখানে ওরা খাবার নিয়ে যেতেন, ওষুধপত্র নিয়ে যেতেন, কাঁথা-কম্বল, কাপড়-চোপড় নিয়ে যেতেন- এই সাহায্যের কথা আমাদের কখনোই ভোলা উচিত না।
বিবার্তা: বাংলাদেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, শব্দ সৈনিক হিসেবে মূল্যায়নটা কীভাবে করবেন? সব মিলিয়ে কেমন আছেন?
বুলবুল মহলানবীশ: আমি সবসময় আনন্দে থাকতে চায়। আমার আনন্দই লাগে যখন আমি মনে করি যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এবং সেটাতে আমরা অংশগ্রহণ করেছিলাম, আমি নিজে করেছি সেটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। টাকা-পয়সা গাড়ি-বাড়ি এটার কাছে কিছুই লাগে না। সবচেয়ে বড় কথা যেটা আমি ভাবি, সেটা হল অন্যসব দেশের স্বাধীনতা দিবস আছে কিন্তু বিজয় দিবস সব জাতির নেই। আমাদের একটা বিজয় দিবস আছে। আমরা পাকিস্তান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। এটা সবচেয়ে বড় কথা। আমি খুব গর্ব অনুভব করি যে, বাংলাদেশ আমার দেশ। যতদিন আমি বেঁচে থাকব, ততদিন আমার দেশপ্রেম বজায় থাকবে।
বিবার্তা: বিবার্তাকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বুলবুল মহলানবীশ: আপনাকেও ধন্যবাদ। বিবার্তার জন্য শুভকামনা।
বিবার্তা/এমজে/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]