
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি হয়েছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রথমে গুলি চালানোর অভিযোগ এনেছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বাড়তে থাকার পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
বৃহস্পতিবার ভোরে এক বিবৃতিতে থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কম্বোডিয়ান সেনারা তা মোয়ান থম মন্দিরের কাছে একটি বিতর্কিত এলাকায় প্রথম গুলি চালায়। তারা দাবি করেছে, গুলির আগে কম্বোডিয়া ওই এলাকায় একটি ড্রোন পাঠায়, এরপর ভারী অস্ত্রসহ সৈন্য মোতায়েন করে।
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, থাই সেনারা বিনা উসকানিতে সীমান্তে ঢুকে পড়ে এবং কম্বোডীয় বাহিনী আত্মরক্ষার জন্য জবাব দিয়েছে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, এই সংঘর্ষের আগে থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয় এবং জানায়, কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়তে বলা হবে। কারণ, সম্প্রতি বিতর্কিত ওই এলাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইজন থাই সেনা ল্যান্ডমাইনে পা হারিয়েছেন।
থাই কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে এই মাইনগুলো পুঁতে রাখা হয়েছে। তবে কম্বোডিয়া এসব অভিযোগকে “ভিত্তিহীন” বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
কম্বোডিয়ায় কয়েক দশকের পুরোনো গৃহযুদ্ধের সময়কার লাখ লাখ অবিস্ফোরিত ল্যান্ডমাইন এখনও রয়ে গেছে বলে জানায় মাইন অপসারণকারী সংস্থাগুলো। ফলে সীমান্ত এলাকায় এখনও এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতি বিরাজমান।
মূলত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্তে প্রায়ই উত্তেজনা তৈরি হয়, বিশেষ করে প্রাচীন মন্দির ঘিরে থাকা এলাকায়। কারণ এগুলোকে দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে থাকে। এর আগে ২০০৮-২০১১ সালেও এই দুই দেশের সেনারা প্রাহ বিহার এবং তা মোয়ান থম মন্দির ঘিরে বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]