১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধ
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫, ০৯:৩৪
১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্বের ১২টি দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি আরও ৭টি দেশের নাগরিকদের ওপর জারি করা হয়েছে কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ।


বুধবার (৪ জুন) এ সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।


হোয়াইট হাউজের বরাতে প্রকাশিত এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সোমবার থেকে ট্রাম্পের জারিকৃত এই আদেশ কার্যকর হবে। যে ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলো হলো আফগানিস্তান, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, মিয়ানমার, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন।


এছাড়া যে ৭ দেশের নাগরিকদের ওপর অতিরিক্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা।


এ ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আমাকে এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।


হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সম্প্রতি কোলোরাডোর বোল্ডারে এক ইসরায়েলপন্থি সমাবেশে হামলা আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে, অপর্যাপ্তভাবে যাচাইকৃত বিদেশিদের প্রবেশ আমাদের জন্য কতটা বিপজ্জনক। ইউরোপে যেটা ঘটেছে, আমরা তা আমেরিকায় হতে দেবো না। আমরা এমন কোনো দেশ থেকে খোলা দরজা নীতিতে অভিবাসন গ্রহণ করতে পারি না, যেখান থেকে আগতদের সঠিকভাবে যাচাই ও পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের আমরা আমাদের দেশে ঢুকতে দেবো না।


অবশ্য ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তার প্রথম মেয়াদে ২০১৭ সালে জারি করা বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতা বলেই বিবেচিত হচ্ছে। তখন তিনি মুসলিম-প্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন। সেই দেশগুলো ছিল ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন। সে সময় অনেক যাত্রী বিমানবন্দরেই আটকা পড়েন বা ফ্লাইটেই উঠতে পারেননি। এতে শিক্ষার্থী, গবেষক, ব্যবসায়ী ও পরিবারের কাছে আসা বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন।


ট্রাম্প শুরু থেকেই এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রকাশ্যে মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। পরে বিভিন্ন আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত ট্রাম্পের সংশোধিত নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। সেখানে ইরান, সোমালিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও ভেনেজুয়েলার কিছু কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।


বিবার্তা/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com