
কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ধর্মতলায় চলছে বিক্ষোভ। এছাড়া নিজেদের সুরক্ষাসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে অনশন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এই অনশনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আর জি কর হাসপাতালের সিনিয়র ৫০ চিকিৎসক একসঙ্গে ‘গণ ইস্তফা’ দিলেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা যখন গণ-ইস্তফা দিয়ে বেরোলেন সেই সময় করতালি দিয়ে তাদের অভিবাদন জানালেন জুনিয়ররা।
এই চিকিৎসকদের ভাষ্য, এভাবে রাজ্যের চিকিৎসাব্যবস্থা চলতে পারে না। চিকিৎসকদের প্রতি হুমকিও মেনে নিতে পারেন না। তাই তাঁরা জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে গণ–ইস্তফা দিলেন।
অন্যদিকে আজ সকাল ৯টা থেকে রাজ্যের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকে প্রতীকী অনশন শুরু হয়েছে। রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই অনশন।
১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে কলকাতার ধর্মতলার অনশন মঞ্চে আমরণ অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অনশনে যোগ দিয়েছেন সাতজন জুনিয়র চিকিৎসক। যদিও পুলিশ শুরু থেকেই এই অনশন যাতে না হতে পারে, সে জন্য নানা কিছু করে। প্রথমে তারা অনশন মঞ্চ তৈরিতে বাঁধা দেয়। আটকে দেয় বাঁশ ও ত্রিপল আনার গাড়ি। তারপরও জুনিয়র চিকিৎসকেরা মঞ্চ বানিয়ে শুরু করেন অনশন।
গতকাল সোমবার পুলিশ অনশনকারীদের খাটগুলো মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেয়। এর প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকেরা বউবাজার থানা ঘেরাও করে তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। এরপরই পুলিশ খাটগুলো ফিরিয়ে দেয়। শুধু তা–ই নয়, অনশন মঞ্চের কাছে বায়োটয়লেট বসাতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। তারপরই চিকিৎসকেরা ভ্রাম্যমাণ বায়োটয়লেট এনে বসান অনশন মঞ্চের কাছে।
এদিকে আজ আবারও এই অনশন মঞ্চের কাছে আটকে দেওয়া হয় চিকিৎসকদের জন্য আনা জলের গাড়ি। তবে এসব করেও পুলিশ বন্ধ করতে পারেনি অনশন কর্মসূচি। ১০ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে বলে অনশনরত চিকিৎসকেরা জানান।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]