
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে তাঁর দেশ যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা পরিপূর্ণ করা হবে।
৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার এক ভিডিও বার্তায় পুতিন এ কথা বলেন। রাশিয়ার দ্বিতীয় ‘পুনরেকত্রীকরণ দিবস’ বা ‘রিইউনিফিকেশন ডে’ উপলক্ষে তিনি এ বার্তা দেন। মস্কোর পক্ষ থেকে চারটি অঞ্চল—দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনকে রাশিয়ার সঙ্গে একত্রীকরণ দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়।
মস্কোর পক্ষ থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে গণভোটের মাধ্যমে একত্রীকরণের ঘোষণা দেওয়া হয়। পশ্চিমা বিশ্বে এ নিয়ে ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনা করা হয়। তবে পুতিনের পক্ষ থেকে অধিকৃত এসব অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে চুক্তি করে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অবশ্য এসব অঞ্চলের পুরোপুরি এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে পুরোপুরি হামলা শুরু করে। অন্যদিকে কিয়েভ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিয়েভ মনে করে, ন্যাটো বা ইইউ সদস্য হলে তা তাদের জন্য নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে; কিন্তু রাশিয়া এর বিরোধিতা করে আসছে।
যুদ্ধ শুরুর সময় ২০২২ সালে পুতিন বলেছিলেন, এ লড়াইয়ের লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিমুক্ত করা। তবে ক্রেমলিনের এ বিবৃতি কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা প্রত্যাখ্যান করে বলে, নিরস্ত্রীকরণের অজুহাতে সাম্রাজ্যবাদ সম্প্রসারণের কৌশল হিসেবে এ সংঘাত চালানো হচ্ছে।
গতকাল পুতিন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘সত্য আমাদের পক্ষে। যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন করা হবে।’ পশ্চিমা অভিজাতদের সমালোচনা করে পুতিন দাবি করেন, ‘রাশিয়াকে লক্ষ্য করে পশ্চিমারা ইউক্রেনে তাদের উপনিবেশ ও সামরিক ঘাঁটি বানিয়েছে। তারা ঘৃণা, উগ্র জাতীয়তাবাদ ও রাশিয়ান সবকিছুর প্রতি শত্রুতা উসকে দিচ্ছে। আজ আমরা আমাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছি।’
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]