
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া এবং টেনেসি—এই পাঁচটি রাজ্যের অনেক শহর প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টিতে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নর্থ ক্যারোলিনায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লোরিডার বিগ ব্যান্ড এলাকায় ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ৪ ক্যাটাগরির এই ঘূর্ণিঝড়।
এরপর সেটি জর্জিয়া, ক্যারোলিনা এবং টেনেসির দিকে অগ্রসর হয়। এর প্রভাবে সেসব অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিতে নদী-খাল প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন দিন কাটাচ্ছেন।
ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রশাসক ডিন ক্রিসওয়েল বলেন, অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। পানির লাইন, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ রুটসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, পাঁচটি রাজ্যজুড়ে উদ্ধারকাজ চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ঝড়-বন্যায় নর্থ ক্যারোলিনায় ৩৭ জন, সাউথ ক্যারোলিনায় ২৫ জন, জর্জিয়ায় ১৭ জন, ফ্লোরিডায় ১১ জন এবং ভার্জিনিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখনো বন্যা সতর্কতা জারি রয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবারের আগে আবহাওয়ার উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, প্রায় ২৫ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সহায়তা বৃদ্ধি এবং দুর্গম এলাকায় সাহায্য পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মুডি’স অ্যানালিটিক্সের অনুমান, এই ঘূর্ণিঝড়ে সম্পত্তির ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ থেকে ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার হতে পারে।
আকুওয়েদারের হিসাবমতে, হ্যারিকেন হেলেনের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৯৫০ থেকে ১১শ কোটি ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
বিবার্তা/এনএইচ/রোমেল/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]