
ভারতের হাথরসে ধর্মগুরু ভোলে বাবার ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (২ জুলাই) পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকর আত্মসমর্পণ করেছেন।
৬ জুলাই, শনিবার দেবপ্রকাশ মধুকর আত্মসমর্পণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দিল্লি পুলিশ। আনন্দবাজার পত্রিকার বরাতে জানা যায়, তাকে ইতোমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
পদপিষ্টের ঘটনার পর গত মঙ্গলবার থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মধুকর। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বেশ কয়েকটি দল গঠন করে মধুকরকে খুঁজতে তল্লাশি চালাচ্ছিল।
রাজস্থান, দিল্লি এবং হরিয়ানায় পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ওই তিন জায়গার পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মধুকরের খোঁজে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যখন তল্লাশি আরো জোরদার করে, তখন ঘটনার চার দিন পর দিল্লিতে আত্মসমর্পণ করেন মধুকর।
এই মধুকরই ধর্মগুরু নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার ঘনিষ্ঠ। হাথরসে ‘সৎসঙ্গের’ আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন মধুকর। তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ে করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর পরই গা-ঢাকা দেন তিনি। তার খোঁজে এক লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে মধুকরের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না প্রথম থেকেই।
পুলিশের সন্দেহ ছিল এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত পার্শ্ববর্তী কোনও রাজ্যে আত্মগোপন করে আছে। ফলে দিল্লি, হরিয়ানা এবং রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রাজস্থানের দৌসাতে এক ব্যক্তির বাড়িতে যেতেন ভোলে বাবা। সেখানে ‘সৎসঙ্গ’ হতো। ফলে সেই যোগসূত্রকেও কাজে লাগায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দিল্লি, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে যখন মধুকরের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করা হয়, সেই সময় দিল্লির নজফগড়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, হাথরসকাণ্ডে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে এফআইআর করা হয়েছিল তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল মধুকরকেই। তবে এফআইআরে ভোলে বাবার নাম উল্লেখ করা হয়নি। ভোলে বাবার নাম উল্লেখ না করায় ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিও সরগরম হয়েছে।
বিবার্তা/ইমি/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]