মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেন-ট্রাম্প
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ১৯:২১
মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেন-ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রথমবারের মতো টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে এ বিতর্কে বৈশ্বিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে দুই নেতার অবস্থানের ওপর নজর থাকবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।


২৭ জুন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় মুখোমুখি হবেন তারা।


আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আজকের অনুষ্ঠান হবে প্রথম ঘটনা যখন দুজন প্রেসিডেন্ট একে অপরের সাথে বিতর্ক করবেন, এবং ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের পর বাইডেন আর ট্রাম্প প্রথমবার একই ঘরে অবস্থান নেবেন।


বিতর্কে ট্রাম্প সম্ভবত বাইডেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আনবেন। তিনি মেক্সিকোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে ঢিলে-ঢালা নিরাপত্তার জন্য বাইডেনকে দোষারোপ করবেন, যার ফলে হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে পেরেছে। বাইডেন সম্প্রতি সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছেন।


ট্রাম্প দাবি করেছেন, বাইডেন প্রশাসনের শুরুর দিকে অত্যধিক সরকারী ব্যয়ের কারণে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে পৌঁছায়, যার ফলে খাদ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য পারিবারিক বাজেটে বড় আঘাত আসে। তবে মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৩.৩ শতাংশে নেমে আসে।


দুই নেতার বিতর্কে আলোচনায় আসতে পারে যে বিষয়গুলো-


অর্থনীতি


ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও মূল্যস্ফীতি ফিরে আসবে বলে সতর্ক করেছেন ১৬ জন নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ। এক চিঠিতে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন তারা। গত মঙ্গলবার এ চিঠি প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে ওই অর্থনীতিবিদেরা বলেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প জিতলে তিনি ‘আর্থিকভাবে দায়িত্বহীন বাজেটের’ মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা উস্কে দিতে ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি ফিরিয়ে আনতে পারেন।


আইনের শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা


অর্থনীতিবিদদের মতে, অর্থনৈতিক সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের মধ্যে রয়েছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিশ্চয়তা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো দেশের জন্য আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করা এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখাও অপরিহার্য।


ইউক্রেন ও ইসরায়েল ইস্যু


ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাইডেনের উদ্যোগে অস্ত্র ও বাজেট–সহায়তা হিসেবে কিয়েভের জন্য ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।


তবে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, এই যুদ্ধে রাশিয়া জিতবে। তাঁর সমর্থকেরা ইউক্রেনের জন্য প্রস্তাবিত শেষ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ কয়েক মাস কংগ্রেসে আটকে রাখে। প্রেসিডেন্ট হলে এ যুদ্ধ ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করার সামর্থ্য রাখেন’ বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।


আবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকাল ইসরায়েলকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে যান ট্রাম্প। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং মার্কিন দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নেন। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চান ফিলিস্তিনিরাও।


বাইডেনও নিজেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে দাবি করে আসছেন। তবে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি হত্যার ঘটনায় দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমার একটি চালান আটকে দেয়া নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।


এছাড়াও, চীন, উত্তর কোরিয়া ও তাদের মিত্রদের বিষয়ে ট্রাম্প ও বাইডেনের অবস্থান অভিন্ন। দুজনই বেইজিংকে ওয়াশিংটনের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেন। তবে চীনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন ও ট্রাম্প প্রশাসনের মাত্রাগত কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com