
মার্কিন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
বুধবার (২৬ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসের একটি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল অ্যাসাঞ্জ মার্কিন আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করবেন। মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসের যে ফৌজদারি অভিযোগ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, আদালতে তা স্বীকার করবেন।
দোষ স্বীকার করে নেয়ার সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সোমবার বেলামার্শ কারাগার থেকে ছাড়া পান অ্যাসাঞ্জ। এরপর তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে উদ্দেশে পাড়ি দেন। বুধবার সকালে দ্বীপটিতে অবস্থিত মার্কিন আদালতে পৌঁছান তিনি। সেখানে শুনানি শেষে অ্যাসাঞ্জের সাজা ঘোষণা করবেন বিচারকেরা। তার পাঁচ বছর দুই মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।
তবে যুক্তরাজ্যে এরইমধ্যে একই সময় কারাভোগ করেছেন তিনি। মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, কারাগারে থাকা ওই সময়কে তার সাজাভোগের সময় হিসেবে ধরা হবে। ফলে তাকে নতুন করে আর কারাগারে থাকতে হবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে উইকিলিকস জানিয়েছে, শুনানি শেষে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন অ্যাসাঞ্জ।
২০০৬ সালে উইকিলিকস চালু করেন অ্যাসাঞ্জ। এতে তিনি একের পর এক গোপন মার্কিন নথিপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। ২০১০ সালের জুলাইয়ে উইকিলিকস আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার নথি প্রকাশ করেছিল। এসব তথ্য পরে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এ কারণে বিব্রত যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়। এরপর থেকে গ্রেফতার এড়াতে সাত বছর ধরে যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সেখান থেকে ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করে লন্ডন পুলিশ।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]