
দুঃসহ গরমের হজের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে গিয়ে সৌদি আরবের মক্কায় চলতি বছরে মৃত্যু হয়েছে ৫৫০ জনেরও বেশি হজযাত্রীর। সৌদির সরকারি প্রশাসনের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএফপি।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, মক্কার পবিত্র গ্র্যান্ড মসিজদের ছায়ায় তাপমাত্রা ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১২৫.২ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।
মৃতদের মধ্যে ৩২৩ জন মিসর থেকে আসা হজযাত্রী। এর বাইরে মৃতদের তালিকায় জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং সেনেগালের হজযাত্রীরাও রয়েছেন।
মক্কার বৃহত্তম হাসপাতাল আল মুয়াইসেমের মর্গে সব মৃতদের লাশ রাখা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, মৃত হজযাত্রীদের মধ্যে ৫৭৫ জনই মারা গেছেন হিটস্ট্রোক ও গরমজনিত অন্যান্য শারীরিক সমস্যায়। বাকি ২ জন মারা গেছেন পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে।
হিটস্ট্রোক, জ্বর ও অন্যান্য গরম জনিত শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আল মুয়াইসেম হাসপাতালে বর্তমানে ২ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উষ্ণ মরু জলবায়ুর দেশ সৌদি আরবে গ্রীষ্মকালে গড় তাপামাত্রা থাকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। গত কয়েক দিন ধরে দেশটির দৈনিক তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও তার জেরে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত নয় সৌদিও। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি এক দশকে সৌদি আরবের তাপমাত্রা বাড়ছে দশমিক ৪ ডিগ্রি করে।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘যে হজযাত্রীরা মারা গেছেন, তাদের অধিকাংশই যথাযথ নিয়ম-বিধি মেনে সৌদিতে প্রবেশ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে তারা খাবার, পানি ও এয়ার কন্ডিশন পরিষেবা পাননি। মূলত এটিই তাদের অসুস্থতা ও তার পরবর্তীতে মৃত্যুর জন্য দায়ী।’
গত বছর হিটস্ট্রোক ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ২৪০ জন হজযাত্রী মারা গিয়েছিলেন। এবার মৃত্যু হলো তার দ্বিগুণেরও বেশি সংখ্যক যাত্রীর।
সৌদির সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, এর আগে এক মৌসুমে এত বেশি সংখ্যক হজযাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। সূত্র : এএফপি, এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]