
কুয়েতের দক্ষিণ আহমেদি গভর্নরেটের মানগাফ শহরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৫ জন ভারতীয় শ্রমিকের মরদেহ নিয়ে ভারতের বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমান কেরালা পৌঁছেছে। মৃতদের অধিকাংশই কেরালার বাসিন্দা তাই বিমানটি সেখানে অবতরণ করে।
১৪ জুন, শুক্রবার ভোরে মরদেহ নিয়ে সি-১৩০ জে বিমান বেলা ১১টায় কেরালার কোচি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
নিহত ভারতীয় শ্রমিকদের ২৩ জনই কেরালার বাসিন্দা। তবে এদের মধ্যে ৭ জন থাকতেন তামিলনাড়ুতে। উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনজন করে শ্রমিক মারা গেছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উড়িষ্যার দুই জনের মৃত্যু হয়। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবের একজন করে শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় দিল্লিতে কুয়েতের দূতাবাস নিহত ভারতীয়দের শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বলে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এতজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার।
নিহত ৪৫ ভারতীয়কে আনতে কুয়েত থেকে আনতে দেশটির সরকার বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান পাঠায়।
নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কোচি বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। মরদেহগুলো বিকেলে দিল্লি পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এর আগে, বুধবার (১২ জুন) ভোরে কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মানগাফে অভিবাসী শ্রমিকদের আবাসনে ব্যবহৃত বহুতল আবাসিক ভবনের নিচতলায় নিরাপত্তাকর্মীর কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডে ৫০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪৫ জনই ভারতীয়। দুইজন ফিলিপিন্সের। আর দুটো মরদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]